রাঙামাটিতে লাশ আর লাশ, নিহত বেড়ে ১০১
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১০১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৯৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে গভীর রাতে আরো তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরে চার সেনাসদস্যসহ ৫৩ জন, কাউখালী উপজেলায় ২৩ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৬ জন, জুড়াছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় দুজন করে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে একজন ও গাছচাপায় একজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, আজ বুধবার রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে পুরো জেলায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে আটশর বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার ১৫ লাখ টাকা ও ১০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সরকার তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তিন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলায় পাহাড় ধসে ২১ জন এবং বান্দরবানে শিশুসহ ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। সোমবার এটি বাংলাদেশের উপকূল ও স্থলভাগ অতিক্রম করে। এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে। টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে গ্রাম-শহরে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।