ঢাবি ও বুয়েট ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাঁজা সেবন করা নিয়ে জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে আজ বিকেলে জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগকর্মী ইমরানকে বুয়েট ক্যাম্পাসে আটকে রাখেন সেখানকার ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কর্মীরা ইমরানকে ছাড়িয়ে আনতে যান। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা, রড দেখা যায়। পরে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের নেতাকর্মীদের হলের ভেতর পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি পাটোয়ারী বলেন, ‘জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করে।’
শুভ্রজ্যোতির দাবি, এ ঘটনায় তাঁদের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন। এঁরা হলেন সৌরভ, দিব্য, অনিক, মহুরী ও সাদমান। তাঁদের মধ্যে সাদমানের অবস্থা গুরুতর। আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, ‘ইমরান নামের আমাদের এক কর্মীকে আটক করে রাখে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমাদের কর্মীরা তাকে নিয়ে আসতে গেলে, তারা কর্মীদের ওপর হামলা করে।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, জহুরুল হক হলের এক ছাত্রলীগকর্মীকে বুয়েট ক্যাম্পাসে আটকে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।