রোজা রেখে কীভাবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সালাহরা?
মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে রমজান চলছে। এই সময়ে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের জন্য দিনের বেলা পানাহার থেকে নিজেকে বিরত রাখে। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে অনেক মুসলিম খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো ১৬ দিন বাকি হলেও দেশগুলোর প্রস্তুত হওয়ার সময় কম। মাত্রই ক্লাবের মৌসুম শেষ হয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষে ফুটবলাররা শেষ সময়ে দলগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন। সময়-স্বল্পতার কারণে রোজা রেখেই ফুটবলারদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এই গ্রীষ্মে রোজা রেখে কীভাবে মুসলিম খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের এত কঠোর পরিশ্রমের প্রস্তুতি সারবেন?
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ, গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপও রোজার সময়েই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রীষ্মের এই বড় দিনে খেলোয়াড়দের মাঠে পারফরম্যান্স ও স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
মোহামেদ সালাহ মিসরের একজন মুসলিম তারকা খেলোয়াড়। তাঁর নমনীয় আচরণ ও ধর্মের প্রতি আনুগত্যের কারণে তিনি সবার নজর কেড়েছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচও এই তারকা রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন। অবশ্য ইনজুরিতে পড়ে ম্যাচের শুরুতে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। রোজা রেখেই অনুশীলন করবেন ২৫ বছর বয়সী মিসরের এই তারকা। এ ছাড়া সাদিও মানে, পল পগবা ও মেসুত ওজিলরা রোজা রেখেই বিশ্বকাপের জন্য অনুশীলন করবেন। যদিও রোজা রেখে অনুশীলন করার কারণে কোচের জন্য একটু বাড়তি ঝামেলারই, তবে এ সময়ে মুসলিম খেলোয়াড়দের দিকে বাড়তি নজর রাখবে দল। তাদের সতর্কতার সঙ্গে অনুশীলন করানো হবে, যাতে তাদের এ সময়ে কোনো কষ্ট না হয়। রোজাদার খেলোয়াড়দের দিকে বাড়তি নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেন মিসরের কোচ হেক্টর কুপার।
সেনেগালের ফরোয়ার্ড সালাহর সতীর্থ লিভারপুল তারকা সাদিও মানে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছেন রোজা রেখেই। ওই ম্যাচে তিনি গোলের দেখাও পেয়েছেন। সেনেগালের রাশিয়া বিশ্বকাপের মিশন শুরু হবে ১৯ জুন, পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে। এর আগে দলের অনুশীলনে এই তারকা রোজা রেখেই নিজেকে প্রস্তুত করবেন।
ফ্রান্সের তারকা খেলোয়াড় পল পগবা পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই পবিত্র মক্কা নগরীতে ওমরাহ হজ পালন করে এসেছেন। মেসুত ওজিল ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে রোজাদার খেলোয়াড়দের জন্য ইফতারের পর দলের পক্ষ থেকে অনুশীলন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দিনে একবার অনুশীলন করানো হলেও মুসলিম খেলোয়াড়দের কথা বিবেচনা করে দুবার অনুশীলন করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।