যা চাও করো, মাকে বিপদে ফেলো না : সালমান
আজ মুক্তি পাচ্ছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খান প্রযোজিত ছবি ‘লাভযাত্রী’। সালমান খান ফিল্মস (এসকেএফ) নির্মিত এ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হচ্ছে দুই অভিনেতা আয়ুশ শর্মা ও ওয়ারিনা হুসেনের।
এর আগে সালমান খান ‘হিরো’ ছবিতে অভিষেক করিয়েছিলেন সুনীল শেঠির কন্যা আথিয়া শেঠিকে। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সুরজ পাঞ্চোলি। এবার ‘লাভযাত্রী’ ছবিতে অভিষেক হচ্ছে সালমানের ভগ্নিপতি আয়ুশ শর্মার। স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উঠেছিল সালমানের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলিউডে নতুন মুখ নিয়ে অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সালমান খান।
বলিউডে নবাগতদের মেধা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সালমান উল্টো প্রশ্ন করেন, “কে মেধাবী নয়? যারা এসেছে, প্রত্যেকেই ভালো কাজ করছে। যখন আমি প্রথম ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবি করি, তখন থেকে এখনো ভালোই আছি।”
‘প্রত্যেকে বড় তারকা হতে চায়, কিন্তু ভাগ্যেরও সহায়তা দরকার। এমনকি সোহেল ও আরবাজও চেষ্টা করেছিল; তারা পারেনি। কিন্তু পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে তারা ভালোই করছে।’
নবাগতদের উদ্দেশে কী উপদেশ সালমান খানের? বলেন, ‘যা চাও করো, কিন্তু মাকে বিপদে ফেলো না।’
‘একটা কথা তাদের বলি, কোনো গেম খেলো না—যা করছ, তাতে আরো উদ্যমী হও ও ধৈর্য ধারণ করো। কোনো কিছু টপকাতে চেয়ো না, কারণ তোমার কাজ করা জরুরি। যদি কোনো কাজ না থাকে, ঠিক আছে, কিন্তু সব সময় ভালো কাজ করো...ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কাজ আসবেই।’
সালমান শুধু সিনেমার ওপর নির্ভর না করে বহুমুখী কাজের ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, ‘বিশেষ করে ওয়েব ও টেলিভিশন আছে। এসব জায়গায় কাজের অনেক সুযোগ আছে।’
‘লাভযাত্রী’ ছবির নাম প্রথমে ছিল ‘লাভরাত্রি’। ছবিটির টিজার বেরোনোর পরই বিতর্ক শুরু হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে, এমন অভিযোগ ওঠে। মামলাও হয়। পরে নাম বদলে দেন সালমান।
“আমরা নাম বদলেছি, কারণ আমরা চাইনি অনুভূতিতে আঘাত দিতে। যদি সিনেমা নামেই চলত, তবে থিয়েটারের বাইরে শুধু ওই নাম লাগালেই হতো। ছবির নাম একেবারেই আক্রমণাত্মক ছিল না। এর আগের ছবিগুলোর মতো এ ছবিও সত্যিই মিষ্টি, ভালোবাসার সুন্দর গল্প। আর এটাই আমরা চেয়েছি। উৎসব চলাকালে যেহেতু প্রেম হয়েছিল, তাই নাম রেখেছিলাম ‘লাভরাত্রি’। কিন্তু কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করল।”
সালমান আরো বলেন, “আমরা একজন মানুষের আবেগকেও আহত করতে চাই না। কেন তা করব? আমরা ভালোবাসার গল্প তৈরি করছি, ঘৃণার গল্প নয়! ভূষণ ‘হেট স্টোরি’ নির্মাণ করেছিল। আমরা সেন্সর বোর্ডে গিয়েছি, আলোচনা করেছি। আমাদের বলা হলো নাম বদলাতে। এটা একদম বিশুদ্ধ ছবি। আমরা কয়েকজনকে দেখিয়েছি, তারাও বলেছে ছবিটি পারিবারিক ও বিশুদ্ধ।”
নবরাত্রি উদযাপন করেন? সালমান বলেন, ‘আমার পরিবার এমন, যেখানে কোনো উৎসবই বাদ যায় না! আমরা উদযাপন করার জন্য কারণ খুঁজি! এমনকি যখন কোনো উৎসব থাকে না, তখন আমরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।’
যখন নতুন কাউকে পরিচয় করিয়ে দেন, তখন কী ধরনের দায় অনুভব করেন? সালমান বলেন, বড় ধরনের দায় থাকে। তিনি বিশ্বাস করেন, যিনি কাউকে এ মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তার সঙ্গে কখনোই কাজ করা থেকে বিরত থাকা ঠিক নয়। এ ছাড়া টেলিভিশনে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন এ মহাতারকা।