নুসরাত হত্যায় আ.লীগ নেতা রুহুল রিমান্ডে
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরফ উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিকেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি রুহুল আমিনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুনানি শেষে বিচারক রাত ৮টার দিকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনীতে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
বিকেলে প্রায় একই সময়ে একই আদালতে নুসরাত হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কামরুন নাহার মনি ও জাবেদ হোসেনকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করে পিবিআই। আদালতে তাদের জবানবন্দি চলছে।
এদিকে আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বোরকা সোনাগাজি পৌর শহরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন ডাঙ্গি খাল থেকে জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অন্যতম আসামি জোবায়ের হোসেনকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই।
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আজ শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করে পিবিআইয়ের সদস্যরা। ছবি : এনটিভি
বোরকা জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, আসামিদের পরিহিত বোরকাগুলো এ হত্যা মামলার অন্যতম আলামত।
এর আগে, এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানা যায় বোরকা পরে পাঁচজন হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতের সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে- ওই ভবনের ছাদে যান নুসরাত। সেখানে বোরকা ও নেকাব পরা চার-পাঁচজন তাঁকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত।