‘খুনের পদ্ধতি বলে দিয়েছে সিরাজ, সর্বোচ্চ শাস্তি চাইব’
‘নুসরাত হত্যায় তাঁর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি, তবে তার চেয়ে বেশি করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করে চার্জশিট দেব।’
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার। পিবিআইর সদর দপ্তরে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা ঘটনার তদন্ত করছে পিবিআই।
বনজ কুমার বলেন, ‘নুসরাত হত্যায় প্রাথমিকভাবে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হবে। চার্জশিটে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে। নুসরাত হত্যার প্রধান আসামি করা হয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে।’
বনজ কুমার বলেন, ‘এই তদন্তকালে আমরা বলেছি, আমরা সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেয়েছি ১৬ জনের বিরুদ্ধে। ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মধ্যে সিরাজ উদ দৌলাও স্বীকার করেছে।’ নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ সিরাজ উদ দৌলা দিয়েছে জানিয়ে বনজ কুমার বলেন, ‘খুনের পদ্ধতিই বলে দিয়েছে সিরাজ।’
বনজ কুমার আরো বলেন, ‘সিরাজ কিলিংয়ে সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি, তবে তার চেয়ে বেশি করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করে চার্জশিট দেব। এই মামলায় ১৬ জন আসামি। ১৬ জনেরই মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।’
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চারতলায় যান। সেখানে মুখোশপরা চার-পাঁচজন তাঁকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
ওই ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রায় সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।