ফলো-অন এড়ানোই আমাদের লক্ষ্য : ইমরুল
পাকিস্তানের ৫৫৭ রানের জবাব দিতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে বাংলাদেশ। মাথার ওপর ঝুলছে ফলো-অনের ‘খাঁড়া’। তবে এই দুরবস্থা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন আপাতত স্বাগতিকদের লক্ষ্য ফলো-অন এড়ানো।
বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল বলেন, ‘প্রতিপক্ষের বিশাল রানের জবাবে আমাদের পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়া হতাশাজনক। তবে এখনো ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন ভালো পার্টনারশিপ। সাকিবের মতো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ক্রিজে আছে। তার কাছ থেকে ভালো ব্যাটিং আশা করছি আমরা। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য ফলো-অন এড়ানো। তারপর ইনিংসটাকে যত দূর সম্ভব বড় করা।’
তবে প্রথম ইনিংসে ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী ইমরুল। খুলনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘খুলনা টেস্টে আমরা প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করে ম্যাচটা ড্র করেছিলাম। এই টেস্টেও তেমন কিছু করা সম্ভব, যদি আমাদের অন্তত দুজন ব্যাটসম্যান দৃঢ়তা দেখাতে পারে।‘
বৃহস্পতিবারের ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্য নিজেদের ব্যর্থতার চেয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদেরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন ইমরুল, ‘পাকিস্তানের বোলাররা ভালো বল করেছে বলেই আমরা এতগুলো উইকেট হারিয়েছি। এমন নয় যে বাজে শট খেলে আমরা আউট হয়েছি। অবশ্য শুরুতেই তামিমের উইকেটটা হারানো দুর্ভাগ্যজনক ছিল। সে সময় তামিম আউট না হলে ম্যাচের চেহারা অন্য রকম হতে পারত।’
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনায় ১৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা ইমরুল বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক বিচক্ষণ। আমি মনে করি না টস জিতে ফিল্ডিং করা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য, চোটের কারণে শাহাদাতকে হারাতে হয়েছে। একজন বোলার কম থাকলে আর অন্য বোলাররা ভালো করতে না পারলে যে কোনো অধিনায়ককেই দল চালাতে হিমশিম খেতে হয়। প্রথম দিন সকালে বল অবশ্য ভালোই মুভ করছিল। কিন্তু আমরা এর সুবিধা নিতে পারিনি।’
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর এক পশলা বৃষ্টি মিরপুরের মাঠ ভিজিয়ে দিয়ে গেছে। বৃষ্টির ‘আশীর্বাদে’ বাংলাদেশ ম্যাচ বাঁচাতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নে ইমরুলের হাসিমুখের জবাব, ‘এমন করে যদি বৃষ্টি হতেই থাকে, হতেই থাকে তাহলে মন্দ কি!’