এই ব্যর্থতার দায় সবার : মুশফিক
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ সাফল্যের পর খুলনায় প্রথম টেস্টে দুই ওপেনারের ব্যাটিং-বীরত্বে ড্র করে খুশির ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিকরা, অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তানের কাছে। শেষটা ভালো না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ হতাশ মুশফিকুর রহিম। এই ব্যর্থতার জন্য দলের প্রত্যেকে সমান দায়ী বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘এই হারের দায় আমাদের সবার। ব্যাটসম্যানরা লম্বা ইনিংস খেলতে পারেনি। তেমন বড় জুটিও গড়তে পারিনি আমরা। তাই এভাবে হারতে হয়েছে। এই টেস্টে আমরা সব বিভাগেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি।’
টেস্ট সিরিজে নিজের পারফরম্যান্সেও হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ওয়ানডের মতো টেস্টে তেমন ভালো খেলতে পারিনি বলে আমি হতাশ। এই টেস্টে ব্যর্থতার জন্য অবশ্য আঙুলের চোটও দায়ী।’
বাংলাদেশের টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে মিরপুর টেস্টের শুরু থেকেই। মুশফিক সিদ্ধান্তটা নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরলেন এভাবে, ‘কোচ-অধিনায়ক-টিম ম্যানেজমেন্ট মিলে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় না সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। প্রথম দিন সকালে উইকেটের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ব্যাট করতে নামলে হয়তো প্রথম ঘণ্টাতেই আমরা তিন-চার উইকেট হারিয়ে ফেলতাম।’
মিরপুর টেস্ট জয়ের লক্ষ্য নিয়ে শুরু করলেও টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এটা রক্ষণাত্মক মানসিকতা কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘আমরা জয়ের লক্ষ্যেই খেলতে নেমেছিলাম। আমাদের মানসিকতা কখনোই রক্ষণাত্মক ছিল না। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও জ্বলে উঠতে না পারায় এত বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে।’
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যে দায়িত্ব নিয়ে খেলেনি তা স্বীকার করতেও দ্বিধা করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে বিশেষ করে চতুর্থ দিনের শুরুতে আমাদের ব্যাটসম্যানরা একটু বেশিই তাড়াহুড়া করেছে। আরেকটু ধৈর্য ধরে ব্যাট করতে পারলে হারটা এত বড় ব্যবধানে হতো না। কয়েকটা উইকেট তো আমরা বিলিয়েই দিয়েছি।’
তবে সব মিলিয়ে এই সিরিজ নিয়ে বেশ তৃপ্ত মুশফিক, ‘শেষটা ভালো না হলেও এই সিরিজে আমাদের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন আছে। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, টি-টোয়েন্টিতে জয়, খুলনা টেস্টে ড্র এবং তামিম ইকবালের ডাবল সেঞ্চুরি। এগুলো ভবিষ্যতে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’