পাকিস্তানের অভ্যর্থনায় উচ্ছ্বসিত জিম্বাবুয়ে
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ধূলিঝড়, তুমুল বৃষ্টি—রোববার রাতে একের পর এক বিপর্যয় নেমে এসেছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। তাই রোমাঞ্চকর সমাপ্তির অপেক্ষায় থাকা তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে দর্শকদের হতাশ করে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়েছে। তাতে অবশ্য পাকিস্তানের আনন্দে মেতে উঠতে সমস্যা হয়নি। জিম্বাবুয়েকে প্রথম দুই ম্যাচ সহজেই হারানোয় স্বাগতিকরা সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে নয় উইকেটে ২৯৬ রানের স্বস্তিকর সংগ্রহ এনে দিতে বড় অবদান মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজমের। ৮০ বলে ৮০ রান করেছেন ওপেনার হাফিজ। ওয়ানডে অভিষিক্ত আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ বলে ৫৪ রান।urgentPhoto
জবাবে জিম্বাবুয়েকে দারুণ সূচনা এনে দেন ভুসি সিবান্দা (২৭ বলে ২৮) ও চামু চিভাভা (২৭ বলে ৩৯)। কিন্তু নয় ওভারে বিনা উইকেটে ৬৮ রান ওঠার পর বৃষ্টি আর খেলা হতে দেয়নি। আজহার আলীর হাতে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে। তিন ম্যাচে একটি শতক ও একটি অর্ধশতকসহ ৭৫.৬৬ গড়ে ২২৭ রান করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
শেষ ম্যাচে ভালো অবস্থায় থেকেও জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবু সব মিলিয়ে এই সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (জেডসি) মহাপরিচালক বলেছেন, “ক্ষুদ্র হলেও পাকিস্তানের ক্রিকেটকে সঠিক পথে ফেরাতে অবদান রাখতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের দেশের কারো কারো প্রশ্ন ছিল, ‘আমরা কীভাবে এই সফরে যাব?’ কেউ কেউ ‘আপনারা খেলোয়াড়দের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন’ বলে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে সফরটা সফল ও নিরাপদে শেষ হবে। আমি নিশ্চিত, এই সফর অনেকগুলো দরজা খুলে দেবে আর পাকিস্তান সম্পর্কে সবার ধারণাও পাল্টে দেবে।”
ক্যাম্পবেল সবচেয়ে বেশি খুশি পাকিস্তানের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা পেয়ে, ‘সত্যি বলতে কি, এতটা উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়ার কথা আমরা ভাবতেও পারিনি। পাকিস্তানের মানুষ জিম্বাবুইয়ান খেলোয়াড়দের একেবারে বুকে টেনে নিয়েছে। তাদের আতিথেয়তা অসাধারণ। পাক-ভারত উপমহাদেশের মানুষ সম্ভবত এই প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের জন্য গলা ফাটাল।’