সালমান বাটের ক্রিকেটে ফেরার আশা
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে শুধু স্বদেশকে কলঙ্কিত করাই নয়, নিজের ক্যারিয়ারকেও ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সালমান বাট। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের জীবনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের সে সময়ের অধিনায়ক সালমান এবং তাঁর দুই সতীর্থ পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্নীতির দায়ে এই তিনজনের পাশাপাশি তাঁদের এজেন্ট মাজহার মাজিদের কারাদণ্ড পর্যন্ত হয়েছিল। বয়স কম হওয়ায় আমিরকে অবশ্য কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।
কারাবাস শেষে তিনজনই দেশে ফিরেছেন। গত জানুয়ারিতে আইসিসি জানিয়েছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকারোক্তি দিলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগে তিনজনকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে। বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমির এরই মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করে দিয়েছেন। ৩১ বছর বয়সী সালমানের সামনেও এখন সেই সম্ভাবনা।
পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান জানিয়েছেন, ‘বাট (সালমান) এর আগে সুনির্দিষ্টভাবে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। তাই আমরা একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য তার কাছে পাঠিয়েছিলাম। এবার সে সুনির্দিষ্টভাবে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’ বিবৃতিটা এরই মধ্যে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তাবিষয়ক ইউনিটের (আকসু) কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন পিসিবি সভাপতি।
লিখিত স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন সালমানও। বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই বাঁহাতি ওপেনার বলেছেন, ‘আমি স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছি। কারণ আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে চাই। আগামী মৌসুমে খেলার জন্য কয়েকটা দল থেকে প্রস্তাবও পেয়েছি।’
‘ঘরোয়া ক্রিকেটের পর কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হবে?’—এমন প্রশ্নে ৩৩টি টেস্ট ও ৭৮টি ওয়ানডে খেলা সালমানের কণ্ঠে আশাবাদের সুর, ‘কেন নয়? আমার ফর্ম আর ফিটনেস নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করতে পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার খেলতেও পারি।’