সালমান-আসিফের অপেক্ষার অবসান
অনেক দিন পর সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের জীবনে স্বস্তির পরশ! স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর অপরাধে নিষিদ্ধ হয়ে একসময় দুজনেরই ক্রিকেট ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছিল। তবে ক্রিকেট ফেরার জন্য আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান ও পেসার আসিফকে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলতে পারবেন দুজনে।
এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে, ‘স্বাধীন দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের বেঁধে দেওয়া শর্ত পালন করায় ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে দুজনই ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন।’
২০১০ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট চলার সময় স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সালমান-আসিফের সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমিরও। আমির পাঁচ, আসিফ সাত আর সালমান ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছিলেন। তবে আসিফের দুই আর সালমানের পাঁচ বছরের শাস্তি ছিল শর্তযোগ্য।
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আইসিসিকে সাহায্যের শর্ত পূরণ করায় বাকি শাস্তি আর ভোগ করতে হচ্ছে না সালমান ও আসিফকে। আমির অবশ্য এই শর্ত পালন করে গত জানুয়ারিতেই ফিরে পেয়েছেন ক্রিকেট খেলার অধিকার। শুধু ক্রিকেট-নিষেধাজ্ঞাই নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্নীতিতে জড়ানোর অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয়েছিল তিনজনকে। বয়স কম থাকায় আমির অবশ্য কিশোর সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন।
সুখবরটা পেয়ে সালমান উৎফুল্ল। বার্তা সংস্থা এএফপিকে ৩০ বছর বয়সী এই ওপেনার বলেছেন, ‘আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। দুঃসময়ে আমার পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদও দিচ্ছি। আমার নতুন জীবনের সূচনা হতে যাচ্ছে। এটা যে আমার কাছে কতটা মূল্যবান, তা শুধু আমিই বুঝতে পারছি। রুটি-রুজির পথ খুঁজে পেয়ে যে কতটা রোমাঞ্চিত, তা বলে বোঝাতে পারব না। আমি অনেক কষ্ট করেছি। তবে এখন আমি একজন পরিবর্তিত মানুষ। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পূর্ণোদ্যমেই খেলা চালিয়ে যাব আমি।’
সেপ্টেম্বরের শুরুতে পাকিস্তানের জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় লাহোর ব্লুজ দলের হয়ে খেলার সম্ভাবনা আছে সালমান বাটের।