র্যাঙ্কিং-ভাবনা নিয়ে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থান ধরে রাখতে পারলে দুই বছর পরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। আর ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচ জিততে পারলেই সপ্তম স্থানে উঠে যাবে মাশরাফির দল। এই সমীকরণ মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ৩টায়।
সিরিজে একটি ম্যাচ জিততে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থানে উঠে যাবে বাংলাদেশ। সুবাদে চ্যাম্পিনয়নস ট্রফিতে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ম্যাচটা ঘিরে ‘প্রতিশোধে’র গুঞ্জনও উঠছে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ‘বিতর্কিত’ আম্পারিংয়ের শিকার হয়ে ভারতের কাছে হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার ঘরের মাঠে সেই হারের ‘বদলা’ নেওয়ার সুযোগ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য প্রতিশোধের চিন্তা মনে ঠাঁই দিতেও নারাজ, ‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা জয় দিয়ে শুরু করতে চাই আমরা। আশা করি আমরা জিতব। তবে এই সিরিজে প্রতিশোধের কোনো ব্যাপার নেই। আমরা পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না, সামনে এগোতে চাই।’
অধিনায়কের কণ্ঠে জয়ের প্রত্যয় ধ্বনিত হলেও পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে হতাশ করবেই। ওয়ানডেতে এর আগে দুই দলের ৩০টি লড়াইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছে। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে, আর বাকি ২৫ ম্যাচেই বিজয়ী দলের নাম ভারত।
তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বাংলাদেশের মানুষকে আশাবাদী করে তুলবে। বিশ্বকাপ থেকেই দারুণ ছন্দে আছে মাশরাফির দল। গত এপ্রিলে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ সর্বশেষ ১৪টি ওয়ানডের ১১টিতেই জিতেছে।
ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কণ্ঠেও বাংলাদেশ সম্পর্কে শ্রদ্ধা, ‘আগের দলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান দলের বিস্তর তফাত। তাদের হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই। বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। তাদের যে কারো পক্ষে একটা ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেওয়া সম্ভব।’