রানা প্লাজা ধস : অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশ ৮ জুলাই
সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুই মামলায় সিআইডি পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশ আগামী ৮ জুলাই দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন।
আজ এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক আজ আদেশ না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আগামী তারিখে এ আদেশ দিতে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
চলতি বছরের ১ জুন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ কর ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তাঁর বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, পৌরসভার সাবেক মেয়র রেফাত উল্লাহ, বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খানসহ ৫৯ জনকে আসামি করা হয়। তবে একই আসামি দুই মামলায় থাকায় মোট ৪২ জন ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪১ জন, আর সাক্ষী করা হয়েছে ৫৯৪ জনকে। ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং সাক্ষী করা হয়েছে ১৩০ জনকে। হত্যা মামলায় ৪১ আসামির মধ্যে পলাতক আছেন ২৫ জন। ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় পলাতক আছেন সাতজন।
২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার থানায় আলাদা দুটি মামলা করা হয়। একটি অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত করে পুলিশের হত্যা মামলা, অপরটি ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের ইমারত আইনে করা মামলা।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ এক হাজার ১৩৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি অবহেলাজনিত হত্যা মামলা করেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। এ সময় ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। এ ঘটনায় এক হাজার ১৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।