শিক্ষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি দাবি হচ্ছে পৃথক পে-স্কেল ঘোষণা। তাঁদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে তাঁদের দাবি-দাওয়াগুলো বিবেচনা করা হবে। তাই আমাদের শিক্ষকদের ক্ষুব্ধ হওয়ার বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০১৫’ জাতীয় উদযাপন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের সম্মান-মর্যাদা রয়েছে। সেটি যাতে রক্ষা হয় সে বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের যে দাবি সেটি যাতে বিবেচিত হয় তার সুযোগটি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য সরকার একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমি আশা করব আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সেটি উপলব্ধি করতে পারবেন। এবং সরকার যেমন বিবেচনা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি আশা করি শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এবং সরকার যে কমিটি নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারা সেটি বিবেচনা করবে। এ ছাড়া কলেজের বিসিএস লেবেলের শিক্ষক ও স্কুল লেবেলের শিক্ষকদেরও কিছু সমস্যা আছে। সেটিও আমাদের মাথায় আছে। অবশ্যই সরকার সব বিষয়ে বিবেচনা করবে। শিক্ষকদের কাছে আমার আহ্বান তারা যেন বিষয়গুলো মাথায় রেখে তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন।’
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিস্তারে অবদান হিসেবে আইএলওর পরামর্শক আবদুর রফিককে সম্মাননা দেওয়া করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রসারে উদ্যোগের জন্য শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁকে মরণোত্তর শ্রদ্ধা প্রদান করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী বিগত জুলাই মাস থেকে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা দ্বিগুণ বেতন পাবেন, যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। এতে তাঁদের কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত হবে। আর দেশ যত বেশি শিক্ষিত হবে, তত বেশি এগিয়ে যাবে।’
শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমরা যারা আজকে বড় বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কর্মকর্তা, বিচারপতি, রাষ্ট্রনায়ক হয়েছি তার পেছনে শিক্ষকদের অবদান অতুলনীয়। সে জন্য আমি আপনাদের আমাদের সকলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আপনাদের শুভকামনা জানাচ্ছি।’
‘শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিখলে চলবে না। নিজেদের প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এ শিক্ষাকে বলা হচ্ছে টেকসই শিক্ষা, জীবনভর শিক্ষা। সারা জীবন ভরে শিখতে হবে। জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে সেটা আমাদের শিখতে হবে।’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খালেদা ইকরাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, আন্তর্জাতিক পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. আতিক রহমান প্রমুখ।