বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ
খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মো. নূরল আলমের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। আজ রোববার দুপুরের পর থেকে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলরুবা সুলতানার এজলাসে আরো ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং তাদের জেরা করছেন কৌঁসুলিরা।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সুলতানা রহমান শিল্পী জানান, আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতে মোট ২১ জন সাক্ষীর হাজিরা দেওয়া হয়। বেলা পৌনে ১টার দিকে আদালত সব সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করে আজ বাদীসহ সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক দিলরুবা সুলতানা আগামীকাল আরো সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্দিষ্ট করেন। বাকিদের পর্যায়ক্রমে সাক্ষ্য গ্রহণের কথা বলেন।
প্রথমে মামলার বাদী নিহত শিশু রাকিবের বাবা মো. নুরল আলম আদালতে ঘটনার বিবরণ দেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম তুষার ও মাজহারুল ইসলাম মিলন বাদী নুরল আলমকে জেরা করেন। আসামিপক্ষের কৌঁসুলিদের জেরায় বাদী নুরল আলম জানান, ৩ আগস্ট ঘটনার সময় তিনি সাতক্ষীরায় ছিলেন। রাতে মেয়ে রিমির ফোন পেয়ে পরদিন সকালে এসে ঘটনা শুনে তিনজনের নামে এজাহার করেন। তিনি আদালতে তিন আসামিকে শনাক্ত করেন।
বাদীকে জেরার আগে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ঘটনার পর আসামি মো. শরিফ ও মিন্টু খান রাকিবকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ক্লিনিক, সদর হাসপাতাল হয়ে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাকিবকে বাঁচাতে শরিফ নিজের দেহ থেকে এক ব্যাগ রক্ত দেন। আসামিপক্ষের কৌঁসুলিরা বাদীর কাছে জানতে চান, তিনি পুলিশের লিখে দেওয়া এজাহার শুনে সই করেছেন কি না। জবাবে বাদী হ্যাঁ বলেন। আইনজীবীরা শরিফের যে গ্যারেজে রাকিব কাজ করত তাদের আগে বিরোধ হলে কেন থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ করা হয়নি তা জানতে চান।
বেলা ২টা পর্যন্ত বাদী নুরল আলম ও কনস্টেবল বদরুল আলমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। বিকেল ৩টার পর যাদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে তাঁরা হলেন সুরতহাল রিপোর্ট প্রদানকারী সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মাকসুদুল হক, মিজান হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম ও খোকন শেখ।