দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বিধিনিষেধ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে এ সময়ে দোকানপাট ও শপিংমলগুলো খোলা রাখা যাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ফরহাদ হোসেন জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
এর আগে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করে গত রোববার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে জানায়। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে জানানো হয়।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত ছিল, তা পরিবর্তন হয়ে আজ থেকেই রাত ৯টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
সর্বশেষ আজ সোমবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বিধিনিষেধ চলাকালীন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার কথা বলেন।
গত ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তাররোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ব্যাপারে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
এর আগে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমাতে গত ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করলেও সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ইত্যাদি খোলার রাখার অনুমতি দিয়েছিল। এরই একদিন পরে রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা দিলে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহণ চলার অনুমতি দেয় সরকার। বর্তমান লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে।