ব্লগার রাজীব হত্যা : সাক্ষ্য দিলেন সাবেক বিচারক
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক বিচারক হারুনুর রশিদ। এ সময় সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষী কনস্টেবল মুনছুর আলীও সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত ছিলেন।
আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এর আগে হারুনুর রশিদ মামলার আসামি মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২) ও সাদমান ইয়াছির মাহমুদের (২০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আর সাক্ষী কনস্টেবল মুনছুর ব্লগার রাজীবের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ বিচারক ও কনস্টেবলের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুখ আহমেদ তাঁদের জেরা করেন। পরবর্তীকালে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এর মধ্যে রানা পলাতক। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ও কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচার শুরু করার নির্দেশ প্রদান করেন।