টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মাহমুদউল্লাহ
প্রায় ১৬ মাস আগে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় হুট করেই জিম্বাবুয়ে সফরের দলে ডাক পান তিনি। সুযোগ পেয়ে যোগ্য জবাবও দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। দলের চরম বিপর্যয়ে মাঠে নেমে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি।
এবার টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। হারারে টেস্টের পঞ্চম দিনে মাঠে নামার আগে গার্ড অব অনার দিয়েছেন তাঁর সতীর্থরা। টেলিভিশন সম্প্রচারেও মাহমুদউল্লাহর অবসরের কথা নিশ্চিত করেছেন ধারাভাষ্যকাররা।
অবশ্য মাহমুদউল্লাহ অনুষ্ঠানিকভাবে এখনো অবসরের ঘোষণা দেননি। কিন্তু ড্রেসিংরুমে জানানো তাঁর এমন ইচ্ছার কথা বেরিয়ে আসে সংবাদমাধ্যমে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সেই খবর ছড়িয়ে পড়লেও নীরব থাকেন মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য খবরটি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
আজ ম্যাচের পঞ্চম দিনে মাঠে প্রবেশের মুহূর্তে সব গুঞ্জন দূর হয়ে যায়। বিদায় নিচ্ছেন বলেই দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানালেন সতীর্থরা।
এদিকে ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে শেষ নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫৪ রানে অপরাজিত গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠে নেমে দিনের ১৭ ও ইনিংসের ১০০তম ওভারে পরপর জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক হাঁকান তিনি। সেঞ্চুরি করতে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৯৫ বল। যেখানে ছিল ১১ চার ও একটি ছয়। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ১৫০ রান।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাসকিন আহমেদও দারুণ খেলেছেন। যেখানে দলের নিয়মিত ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে তাসকিন যেন বনে গেছেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭৫ রান।
২০০৯ সালে কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। এরপর এক যুগে তিনি খেলেছেন ৫০ টেস্ট। তাতে ৩৩.৪৯ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯১৪ রান। আছে ৫ সেঞ্চুরি আর ১৬ ফিফটি।