চাঁদাবাজির মামলা : ঢাবি ছাত্রলীগনেতা রিমান্ড শেষে কারাগারে
চাঁদাবাজি ও পেটানোর অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগনেতা মো. আকতারুল করিম রুবেলকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আকতারুল করিম রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।
এ বিষয়ে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার নীলক্ষেত ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রইচ হোসেন আসামিকে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে আজ আসামি রুবেলকে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন ও তাঁর দুই সহকর্মী গত সোমবার সকালে নাস্তা করতে হাসপাতাল থেকে আনন্দবাজার খাবার হোটেলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের সামনে পাকা রাস্তার ওপর ছাত্রলীগনেতা রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা পথরোধ করে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাঁরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুবেল ও তাঁর সহযোগী আসামিরা মনিরকে কাঠ ও রড নিয়ে হাত, পা, মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সজোরে আঘাত করে এবং কিল, ঘুষি মারতে থাকেন৷
এ সময় মনিরের সহকর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আসামিরা তাঁদেরকেও এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করেন এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারীরা এগিয়ে এসে আসামি আকতারুল করিম রুবেলকে আটক করতে সক্ষম হন। অপর আসামিরা পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রুবেলকে হেফাজতে নেয়।