বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা পুরো বাংলাদেশকে বদলে দিতে চেয়েছিল : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর পরিবারকে কেন সেদিন হত্যা করল, নির্বংশ করল? কারণ যারা হত্যাকারী ছিল, তারা পুরো বাংলাদেশকেই বদলে দিতে চেয়েছিল। শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য নয়, তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির চরিত্র ও বৈশিষ্টতার সব কিছু পাল্টে ফেলার জন্য এই অপচেষ্টা চালিয়েছে। কারণ তারা ভীনদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল। তারা ছিল একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি।’
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শেখ রাসেল মডেল স্কুল’ উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দেখেছি, সেখানে শুধু যে রাজনৈতিক ব্যক্তিটি থাকে, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য অথবা রাজনৈতিক বিভিন্ন ফায়দা নেওয়ার জন্য হয়ত তাকে হত্যা করা হয়। অন্য কোথাও একজন মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর পুরো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এমন ঘটনা ইতিহাসের বিরল। বঙ্গবন্ধু যখন তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিতে শুরু করল, ঠিক সেই সময়ে একাত্তরের অপশক্তি তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের দোসরদের নিয়ে নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর স্বপরিবারে হত্যা করেছে।’
শেখ রাসেল সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে শেখ রাসেল অন্যায়ের প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। ঘাতকরা জানতো শুধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেই তারা বাংলাকে পাকিস্তান বানাতে পারবে না। তারা জানতো শেখ মুজিবের বংশধর কেউ জীবিত থাকলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই তারা শিশু শেখ রাসেলকেও সেদিন হত্যা করে। কিন্তু সেদিন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা।
উদ্বোধনকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক চিত্ত রঞ্জন মিশ্র, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ লিসাইয়া মেহজাবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট সংলগ্ন তিন দশমিক ৯৪ একর এলাকা জুড়ে নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নতুন ভবন। এ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ১৬টি শ্রেণিকক্ষ সম্পন্ন এই স্কুলটিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী একযোগে ক্লাস করতে পারবে। স্কুলটিতে আটটি ব্যবহারিক গবেষণাগার, একটি করে লাইব্রেরি, একটি কম্পিউটার-আইটি ল্যাবসহ আরও নানা সুবিধা রয়েছে।