কুমিল্লাকে হতাশ করে উড়ছে মাশরাফীর সিলেট
প্রথম হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি। এর মধ্যে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে আরেকবার ধাক্কা খেল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইমরুল কায়েসের কুমিল্লাকে হতাশায় ডুবিয়ে টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে আছে সিলেট। অন্যদিকে টানা দুই হারে কুমিল্লা সবার তলানিতে।
মিরপুর শেরেবাংলায় ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৯ রান করেছে কুমিল্লা। দলের হয়ের ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা জাকের উপহার দিয়েছেন ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। জবাব দিতে নেমে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় মাশরাফীর দল।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় সিলেট। হারায় ওপেনার হারিসকে। এরপর দ্বিতীয় জুটিতে দলীয় পঞ্চাশ ছাড়ায় সিলেট। সপ্তম ওভারে গিয়ে হারায় নাজমুল শান্তকে (১৯)। তবে দুই ওপেনারকে হারালেও জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সিলেটের।
ওয়ানডাউনে নামা তৌহিদ খেলেন হাতখুলে। উইকেটে থিতু হয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন তৌহিদ। তাতেই জয়ের পথ রাস্তা সহজ হয়ে যায় সিলেটের। জাকির ফিরলে শেষ দিকে বাকিদের নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। ২৫ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম জয়ের খোঁজে আজ টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা। রৌদ্রোজ্জ্বল শেরেবাংলায় কুমিল্লার ইনিংসে রোদের তাপ কিছুটা কম। কোনো মতে ৬ উইকেটে দেড়শর কাছাকাছি যায় কুমিল্লা।
আজও ওপেনিংয়ে হাসেনি লিটন দাসের ব্যাট। জোড়া চার মেরে শুভ সূচনা করলেও ম্যাচের চতুর্থ বলেই মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন থিসারা পেরেরার বলে। দলীয় ৩৭ রানে আউট হন সৈকত আলি। ১২ বলে ২০ রান করে সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিলেন ভালো কিছু করার। সৈকত আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানো কুমিল্লার ইনিংস মেরামত করেন আরেক ওপেনার ডেভিড মালান। ৩৯ বলে ৩৭ রানের মন্থর ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি।
মালান ধীরগতির ইনিংস খেললেও আরেক প্রান্তে জাকের তুলে নেন অর্ধশতক। স্ট্রাইক রোটেট করে দেখেশুনে খেলেন জাকের। ৪৩ বলে জাকেরের অপরাজিত ৫৭ রানে কুমিল্লা পায় মোটামুটি লড়াই করার পুঁজি। মালান ও জাকের ছাড়া বলার মতো রান করতে পারেনি কেউই। ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন। মোহাম্মদ নবী করেন ৭ বলে ৮ রান। সিলেটের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরা। ইমাদ ওয়াসিম ও মাশরাফী পান এক উইকেট। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাতে উইকেট রেখেও কুমিল্লা পারেনি খুব বড় সংগ্রহ গড়তে। ফলে জয়ের নাগালও পাওয়া হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২০ ওভারে ১৪৯/৬। (লিটন ৮, মালান ৩৭, সৈকত ২০, কায়েস ২, মোসাদ্দেক ৫, নবী ৮, জাকের ৫৭*, রনি ৮* ;পেরেরা ৪-০-২৬-২, আমির ৪-০-২২-২, ওয়াসিম ৪-০-২৯-১, মাশরাফী ৪-০-৩৩-১, রেজাউল ৪-০-৩৯-০)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১৭.৪ ওভারে ১৫০/৫ (শান্ত ১৯, হারিস ৬, তৌহিদ ৫৬, জাকির ২০, পেরেরা ৮, মুশফিক ২৮, আকবর ৬, নবী ৪-০-২৮-২, খুশদিল ৪-০-২৯-২, মোসাদ্দেক সৈকত ১-০-১৪-০, মুস্তাফিজ ৩-০-২৫-০, ফারুকি ৩.৪-০-২৮-০, আবু হায়দার ২-০-২৫-০)।
ফল : ৫ উইকেটে জয়ী সিলেট স্ট্রাইকার্স।