চট্টগ্রামকে উড়িয়ে মাশরাফীদের দুর্দান্ত শুরু
চমৎকার বোলিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে বেশিদূর যেতে দেয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাট হাতেও সিলেট দেখাল দৃঢ়তা। দুই বিভাগের দাপটে জয়ের জন্য খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সিলেটকে। চট্টগ্রামকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের বিপিএল মিশন শুরু করেছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সিলেট। এই জয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে পয়েন্টের খাতা খুলেছে মাশরাফীর সিলেট।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাব দিতে নেমে ১২ ওভার তিন বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সিলেট।
ছোট রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙলে ব্যাট হাতে বাকি কাজ সারেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। দুজন মিলে জয়ের রাস্তা সহজ করে দেন। এই জুটি ভাঙে দলীয় ৭৫ রানে। ২০ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন জাকির। তিনি ফিরলে বাকিটা মুশফিককে নিয়ে পার করেন শান্ত। ব্যাট হাতে শান্ত উপহার দেন ৪৩ রানের ইনিংস। ৪১ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিন বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়। শেষ দিকে নেমে মুশফিক করেন ৬ রান।
নানা বিতর্ক আর সমালোচনা পেরিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ গড়ায় দুপুর ২টায়। যদিও ম্যাচের সময় পূর্ব নির্ধারণ ছিল আড়াইটা। কিন্তু তা কমিয়ে আনা হয় ৩০ মিনিট। শুরুর ম্যাচে টস জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় সিলেট।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল হাতে আসেন মাশরাফী। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা মাশরাফীর বোলিংয়ে ছিল না কোনো জড়তা। শুরুর ওভারে মাত্র এক রান দেন তিনি, বাকি পাঁচটিই দেন ডট বল। মাশরাফীর দ্বিতীয় ওভারে ভাঙে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি। সেটা অবশ্য ভাঙে রান আউটে। ১৪ বলে ১৩ রান করে ফেরেন চট্টগ্রামের ওপেনার মেহেদী মারুফ।
পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে নিজের প্রথম শিকার তুলে নেন মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানির তারকার গতিময় বল মোকাবিলায় উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন আরেক ওপেনার রাসুলি (৩)।
এরপর শুধু হতাশাই দেখে চট্টগ্রাম। রেজাউর রহমান রাজা একে একে তিন স্পেলে এসে তুলে নেন তিন উইকেট। ফিরিয়ে দেন শুভাগত হোম, উসমান খান ও উন্মুক্ত চাঁদকে। মাশরাফী উইকেটের দেখা পান নিজের শেষ স্পেলে। নিজের কোটার শেষের ওভারে মৃত্যুঞ্জয়কে বিদায় করেন তিনি। স্রোতের বিপরীতে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু সেটাও বৃথা করে দেন আমির। ২৫ রানে ভাঙেন আফিফের প্রতিরোধ। একের পর এক উইকেট হারানোর হতাশা সামলে বেশিদূর যেতে পারেনি চট্টগ্রাম। ৮৯ রানেই থেমে যায় শুভাগত হোমের দল।
৪ ওভারে বোলিং করে ১৮ রান খরচায় ১টি উইকেট নেন মাশরাফী। ২২ রান দিয়ে সমান একটি নেন কোলিন। রেজাউর রহমান রাজা ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নেন। আমিরের শিকার ৭ রানে দুটি।