চট্টগ্রামে তাইজুলের রঙিন দিন
চ্যালেঞ্জটা ছিল খুব কঠিন। যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশকে সেই পথটা তৈরি করে দিলেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়সেরা বোলিং করে তুলে নিলেন সাত উইকেট। ফলে লিডের দেখাও পেয়ে গেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন তাইজুলের স্পিনে রাঙাল বাংলাদেশ।
উইকেট উৎসবের শুরুটা আজ নিজের প্রথম ওভার থেকেই করেন তাইজুল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন। তুলে নেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও আজহার আলীকে। এরপর ফাওয়াদ আলমকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাইজুল।
প্রথম সেশনে তাঁর উপরই বেশি আস্থা রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাইজুল নিজেও। সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিং করেছেন। এর মধ্যে কোনো বাজে বল ছিল না। দুর্দান্ত স্পিনে মুগ্ধ রেখেছেন সবাইকে।
দ্বিতীয় সেশনে তুলে নিয়েছেন আরও চারটি উইকেট। একে একে তুলে নেন সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলী, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী ও নুমান আলীর উইকেট।
৪৪.৪ ওভার বল করে ১১৬ রানে ৭ উইকেট নেন তাইজুল। টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০১১ সালে ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
এ ছাড়া তাইজুলের ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সেরা বোলিং এটি। আগের সেরা বোলিং ছিল ৩৯ রানে আট উইকেট। ২০১৪ সালে ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তিনি।
বাঁহাতি এই স্পিনারের বছরটাও দারুণ যাচ্ছে। এবছর পঞ্চম টেস্ট খেলতে নেমে দ্বিতীয়বার তুলে নিলেন পাঁচের বেশি উইকেট। যা তাঁর ক্যারিয়ারের নবম।
পাকিস্তানের বিপক্ষেও দ্বিতীয়বার পাঁচের বেশি উইকেট পেলেন তাইজুল। আর শ্রীলঙ্কা (১), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২) ও জিম্বাবুয়ের (৪) বিপক্ষে পাঁচ বা তারচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দেশের মাটিতে এ নিয়ে সাতবার পাঁচ উইকেট পেলেন। বিদেশে এ কীর্তি গড়েছেন দুবার। বিদেশের মাটিতে দুটির মধ্যে একটি পাল্লেকেলেতে অন্যটি কিংসটনে। তাইজুলের দারুণ বোলিংয়ের দিনে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে থামিয়েছে বাংলাদেশ।