জমে উঠেছে কুমিল্লা-বরিশালের লড়াই
লক্ষ্যটা বড় নয়। ফাইনাল ম্যাচে জিততে হলে ফরচুন বরিশালকে করতে হবে ১৫২ রান। এই রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে বরিশাল। উইকেটে থেকে বরিশালকে এগিয়ে নেন সৈকত আলী। মাত্র ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে উইকেট থাকা মারকুটে ব্যাটার ক্রিস গেইল অবশ্য তেমন ঝড় তুলতে পারেননি। ক্যারিবীয় তারকাকে দেখিয়ে বরিশালের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন সৈকত। ৩৪ বলে ৫৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই ব্যাটার। সৈকতের পর একে একে সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইলকে ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেছে কুমিল্লা।
সুনিল নারাইনের ব্যাটে যেভাবে শুরু করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস সেভাবে স্কোরবোর্ডে বড় রান জমা করতে পারেনি। শেষের ব্যর্থতায় ফরচুন বরিশালকে ১৫২ রানের মাঝারি টার্গেট দিতে পেরেছে ইমরুল কায়েসের দল।
এই রান তাড়ায় নেমেই শুরুতে ধাক্কা খেয়েছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। নিজেদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়েছে মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট। ছন্দে থাকা মুনিমকে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে বরিশাল। বিপিএলে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিততে ব্যাটিংয়ে লড়ছে সাকিব আল হাসানের দল।
আজ শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫১ রান তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কোয়ালিফায়ারের মতো এই ম্যাচেও নারাইনকে ওপেন করতে পাঠায় কুমিল্লা। দলের প্রত্যাশা ভালোভাবেই পূরণ করতে পেরেছেন তিনি। ব্যাটিং নেমে প্রথম ওভারেই মুজিবের বল দুবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠান নারাইন। এই ছন্দ ধরে রেখে মাত্র ২১ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। এর আগের ম্যাচেও মাত্র ১৩ বলে ফিফটি করেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
তবে নারাইনের সঙ্গে ওপেন করতে নামা লিটন দাস অবশ্য টিকতে পারেননি। তাঁকে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ছয় বল খেলে লিটন করেন ৪ রান।
লিটন ফিরলেও পাওয়ার প্লেতে দলকে ভালো পুঁজি এনে দিতে ভূমিকা রাখেন নারাইন। ষষ্ঠ ওভারে অবশেষে তাঁর ঝড় থামান মেহেদী হাসান রানা। বরিশালের বোলারের স্লোয়ার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করেন নারাইন। মেহেদীর বল তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেখানে থাকা নাজমুল শান্ত বল মুঠোয় নিয়ে বেইলি ডান্সে মাতেন শান্ত। ২৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে ফেরেন নারাইন।
নারাইনকে হারানোর পর পাল্টে যায় কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের চিত্র। বাকি সময় উইকেটে খুব হতাশাই দেখেছে কুমিল্লা। দাপুটে বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে কুমিল্লাকে নাড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব-মুজিবরা।
নারাইন ফেরার পরের ওভারেই রানআউটের খেসারতে মাহমুদুলকে হারায় কুমিল্লা। ফাইনাল ম্যাচে দায়িত্ব নিতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিও। মুজিবের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন ডু প্লেসি। ৭ বলে ৪ রান করেন প্রোটিয়া তারকা।
মাঝপথে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা। কমতে থাকে রানের গতি। পাওয়ার প্লেতে ৭৩ রান তোলা কুমিল্লা পরের ওভারগুলোতে বেশি রান তুলতে পারেনি। মঈন আলী উইকেটে থেকে চেষ্টা করেছেন রানের গতি বাড়াতে। তবে বাকিদের আশা-যাওয়ার মিছিলে আগ্রাসী হতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রান নিয়ে ইনিংস শেষ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন মঈন। দুই চার ও এক বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।