জয়ে ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেল সারল শ্রীলঙ্কা
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা বড় সংগ্রহ গড়তে পারল না পাকিস্তান। ১২১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় আসরের অন্যতম ফেভারিট দলটি। জবাবে শ্রীলঙ্কারও শুরুটা হয়েছে একেবারেই বাজে। মাত্র ২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসা দলটি ২৯ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। সেই অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠে শেষ পর্যন্ত জয় পায় লঙ্কানরা। পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারায় তারা।
এদিন শ্রীলঙ্কার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন পথুম নিসাঙ্কা। এই অভিজ্ঞ ওপেনার দারুণ একটি হাফসেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। তিনি ৩৮ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ভানুকা রাজাপাকসের। তিনি ১৯ বলে ২৪ রান করেন। আর অধিনায়ক দাসুন শানাকা করেন ১৬ বলে ২১ রান। হারিস রউফ ১৯ রানে দুই উইকেট পান। আর উসমান কাদির ও মোহাম্মদ হাসনাইন একটি করে উইকেট পান।
এর আগে পাকিস্তানের ছোট সংগ্রহ গড়তে বাবর আজম ২৯ বলে ৩০ রান করেন। তিনি সাজঘরে ফিরলে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে বাজে অবস্থা হয়। ব্যাটাররা দ্রুত ফিরতে শুরু করলে এক পর্যায়ে মনে হয় শতক পার হতে পারবে না তারা। শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক সংগ্রহ গড়ে তারা। শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ১৮ বলে ২৬ রান করেন।
এদিন সাফল্য পাননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি মাত্র ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এই এশিয়া কাপে হঠাৎ করেই ছন্দপতন হয় বাবরের। এর আগে তিন ম্যাচে মাত্র ৩৩ রান করেছেন তিনি। এদিন কিছুটা সাফল্য পান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা বল হাতে দারুণ সাফল্য পান। চার ওভারে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। আর মহেশ থেকশান পান দুই উইকেট।