তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অন্যরকম কেমিস্ট্রি
শুরুতে পথ দেখালেন তামিম ইকবাল। টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া বাঁহাতি ওপেনার থামলেন ৬৪ রানে। তামিমের দেখানো একই পথে হাঁটলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই আটকে গেলেন ৬৪ রানের কেমিস্ট্রিতে। তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে বড় সংগ্রের ভিত।
প্রথম দুটিতে জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম দুই ম্যাচেই পরে ব্যাট করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তাই পরিমিত ব্যাট করার সুযোগ পাননি ক্রিকেটাররা। টপ অর্ডারদের ওপর ভর করে ছোট লক্ষ্য পার করেছে সহজে।
অবশেষে চট্টগ্রামে পাখা মেললেন ক্রিকেটাররা। নিজেদের জায়গায় ঠিকঠাক ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে রানের দেখা পেয়েছেন চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে মজার ব্যাপার হলো, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ তিনজনই সমান ৬৪ রান করেছেন।
শুরুটা করেন তামিম। ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। প্রথমে কিছুটা লড়াই করেন নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে। এরপর সাকিবের সঙ্গে গড়েন দারুণ জুটি। দুজনেই উইকেটে জমে যান। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জুটিতে আসে ৯৩ রান। এর মধ্যে উইকেটে থিতু হয়ে ৭০ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি। এরপর তামিমকে আর হাতখুলে খেলতে দেননি জোসেপ আলজারি। অতিথি বোলারের করা শর্ট বল লেগে ঘুরিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু টাইমিং ঠিকমতো না হওয়ায় মিডউইকেটে ধরা পড়েন অধিনায়ক। ৬৪ রানে ফিরেছেন তিনি। ৮০ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।
একই রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। অন্যরা যেমন শুরুতে রান তুলতে ধুকছিলেন মুশফিককে তেমন দেখা যায়নি। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাটিং করা মুশফিক ৪৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর মারমুখী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পারলেন না শতকের ঘরে যেতে। ওই ৬৪ রানেই তাঁকে থামিয়ে দেন রেমন রিফার। ৪৭তম ওভারে প্রথম বলে রেফারকে ছক্কা হাঁকান মুশফিক। পরের বলে আলজারি জোসেফের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
একই রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকেও। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে কিওন হার্ডিংকে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ওভারের শেষ বলে আরেকটি ছক্কা ও ফ্রি হিটে দুই রান নিয়ে ঠিক ৬৪ রানে অপরাজিত থাকলেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। তিন ব্যাটসম্যানের ৬৪ রানের কেমিস্ট্রিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।