নাসির-আলামিনদের দাপটে বেশিদূর যেতে পারেনি খুলনা
কুয়াশাভেজা দুপুরে কন্ডিশন কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় ঢাকা ডমিনেটর্স। নিজেদের লক্ষ্যে সফল ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। আগে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি ঢাকা। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ঢাকাকে মাত্র ১১৪ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির খুলনা টাইগার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলতে পেরেছে খুলনার টাইগার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন খুলনার ব্যাটার ইয়াসির আলি।
আগে ফিল্ডিংয়ে নামা ঢাকার হয়ে বল হাতে ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালোভাবেই শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান। এরপর চতুর্থ ওভারে এসে সাফল্য তুলে নেন নাসির হোসেন। প্রথমবার ঢাকার নেতৃত্ব পাওয়া নাসির ফিরিয়ে দেন খুলনার ওপেনার সারজিল খানকে। ৭ রান করা সারজিলকে বোল্ড করে মাঠছাড়া করেন নাসির। ১১ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।
এরপর ওয়ানডাউনে নামা মুনিম শাহরিয়ারকে টিকতে দেননি আলামিন। ডানহাতি পেসারের ডেলিভারি মোকাবিলায় উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুনিম (৪)।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা আজম খানকে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু টিকতে পারলেন না। আরাফাত সানির স্পিনে কাটা পড়ে বিদায় নেন তিনি। ১৫ বলে মাত্র ৮ রান নিয়ে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। দলীয় ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় খুলনা।
যে বিপদ কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েও ঢাকার হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক ইয়াসির। তিনি ২৪ রানে সাজঘরে ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ১১৩ রান করতে পারে খুলনা। মাঝে আজম খান করেন ১২ বলে ১৮ রান। শেষ দিকে সাব্বির রহমান করেন ১১ বলে ১১ রান।
বল হাতে ঢাকার হয়ে ১৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ২৯ রানের বিনিময়ে নাসিরের শিকার দুটি। আলামিন ৪টি নিতে দেন ২৮ রান। আরাফাত সানির শিকারও দুটি।