পাকিস্তানের বিপক্ষে খলনায়ক বনে যাওয়া সতীর্থের পাশে কোহলি
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার আরেকটি লড়াই দেখে ফেলল ক্রিকেট ভক্তরা। যেখানে রুদ্ধশ্বাস লড়াই করেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি ভারত। তবে ম্যাচের পর মূল ব্যর্থতার কারণ গিয়ে পড়েছে আর্শদিপের সিংয়ের ওপর। কারণ তাঁর ক্যাপ মিসের খেসারতই দিতে হয়েছে ভারতকে। তবে ক্যাচ মিস করা সতীর্থের পাশেই দিন শেষে দাঁড়িয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
গতকাল রোববার ম্যাচটিতে শেষ ১৫ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। সে সময় উইকেটে ছিলেন পাকিস্তানের মারকুটে ব্যাটার আসিফ আলি। রবি বিশ্নোইকে স্লগ সুইপ হাঁকাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সহজ ক্যাচ উঠে যায়। কিন্তু ওই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফেলে দেন আর্শদিপ। কথায় বলে—ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। ভারতের বেলাতেও সেটাই হয়েছে। ওই ঘটনার পরপরই পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
ম্যাচের পর আর্শদিপ যখন সমালোচিত হচ্ছেন তখন পাশে দাঁড়ালেন কোহলি। সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেছেন, ‘চাপের মুখে যে কোনও খেলোয়াড়ই ভুল করে থাকে। এ রকম একটা বড় ম্যাচ, এত কঠিন পরিস্থিতি। আমার মনে আছে, এক বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলাম। সেই প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা। শহীদ আফ্রিদির বলে একটা খারাপ শট মেরেছিলাম। সেদিন আমি ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জেগেছিলাম। শুধু ছাদের দিকে তাকিয়েছিলাম। ঘুমই আসছিল না। ভেবেছিলাম আর কোনও দিন সুযোগ পাব না। আমার ক্যারিয়ার বুঝি শেষ। এখন আমাদের দলের পরিবেশ অনেক ভাল। কাল যখন সবাই একসঙ্গে হব, হাসাহাসি করব, সেটা দেখে আর্শদিপ অনেকটা চাপমুক্ত হবে। আমি টিম ম্যানেজম্যান্টকে এর জন্য কৃতিত্ব দেব। ওরা এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যেখানে কেউই ব্যর্থতায় ডুবে যায় না। নতুন উদ্যমে ফিরে আসে। এ রকম পরিবেশে যে কোনও ক্রিকেটার চাইবে, আবার সুযোগ আসুক। তখন সে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দেবে।’
এ ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের কারণ ব্যাখায় কোহলি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, মোহাম্মদ নেওয়াজের ইনিংসটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল। ওকে আগে পাঠিয়ে একটা ভালো খেলেছিল পাকিস্তান, যাতে পরের দিকে পরিস্থিতি কঠিন হলে ওদের হাতে উইকেট থাকে। সবাই বাবর বা রিজওয়ানের থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা করে। নেওয়াজ যদি কাল ১৫-২০ রানের ইনিংস খেলত তা হলে কিছু হত না। কিন্তু সে ৪২ রানের ইনিংস খেলেছে। এ রকম একটা ইনিংস ম্যাচে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। বিশেষত এ রকম টান টান ম্যাচে। ওর ইনিংস থেকেই আমাদের উপর চাপ শুরু হয়।’