বাংলাদেশের হতাশার দিনে যত ভুল
শুরু হয়েছিল সাকিব আল হাসানের এল.বি.ডব্লিউ আউট দিয়ে। হতাশা সেখান থেকেই ভর করেছিল বাংলাদেশের কাঁধে। বোলিংয়ের শুরুর ওভারেই তাসকিনের বলে রেজওয়ানের ক্যাচ ফেলে দেন সোহান। কিংবা সাকিবের মিস ফিল্ডিং এনে দেয় আরও হতাশা।
আজ রোববার প্রথম ম্যাচেই নেদারল্যান্ডস সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে খেলার। কিন্তু এমন সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না লাল-সবুজের দল। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল পাকিস্তান। একেই বলে সুযোগের সৎ ব্যবহার, যেটিতে সফল বাবর আজমেরা।
সুযোগটি হতে পারত সাকিবদের। কিন্তু কিছু ভুল না হলে অন্যরকম ফল হতে পারত। সে ভুলের কিছু এসেছে নিজেদের হাত ধরে, কিছু এসেছে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০.৫ ওভারে শাদাব খানের বলে সাকিবকে এল.বি.ডব্লিউ আউট দেন দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সাকিব। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল বল প্রথমে ব্যাটে লেগেছে।
বল স্পর্শ করেছে ব্যাটে—এটা দেখার পরও জিম্বাবুয়েন টিভি আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে জানালেন ব্যাটে বল লাগেনি। আবারও দেখা হলো টিভি রিপ্লে। তখনও দেখা যাচ্ছিল ব্যাটে লেগেছে বল। তবুও ঘোষণা করা হলো আউট। কী দুর্ভাগ্য!
মাত্র ১২৭ রান, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি আদর্শ রান নয়। তবুও এই রানের জবাবে ব্যাটে নামা পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরানোর সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের হাতে। সুযোগ হাত থেকে ফেলে দেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ওভারে তাসকিনের করা তৃতীয় বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। কিন্তু হাতে রাখতে পারেননি সোহান। মনে হলো- ক্যাচ নয়, ম্যাচটাই ফেলে দিলেন সোহান। দুর্ভাগ্য তাসকিনের, সাথে বাংলাদেশেরও।
১১.৪ ওভারে ইবাদতের বল মিস করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বাংলাদেশ এল.বি.ডব্লিউয়ের আবেদন করে। সেসময়ে সুযোগ আসে রান আউট করার। কিন্তু সাকিবের ছুঁড়ে মারা বল স্ট্যাম্পে না লেগে চলে যায় সীমানার বাইরে। আউট তো হলোই না, উল্টো অতিরিক্ত থেকে চার রান। কতটা মন্দ ভাগ্য!
এদিন সবকিছুই হতে পারত বাংলাদেশের পক্ষে। কারণ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩ রানে হারিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সুযোগ এনে দেয় নেদারল্যান্ডস। ডাচদের জয়ে বিদায় নেয় প্রোটিয়রা। তবে সুযোগটাকে ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তারা চলে গেছে সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশের।