মাশরাফীদের বড় চ্যালেঞ্জ দিতে পারল না চট্টগ্রাম
ফের নেতৃত্বে বদল এনেও পারফরম্যান্সে খুব বেশি বদল আনতে পারল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিতে পারলেন না চট্টগ্রামের টপ অর্ডাররা। তবে শেষ দিকে শামীম হোসেনের হাফসেঞ্চুরিতে মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। সিলিট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকাকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আজ মঙ্গলবার বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৪৮ রান তুলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন শামীম হোসেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ টসের শুরুতেই অধিনায়কত্বে বদল এনে চমকে দেয় চট্টগ্রাম। ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে টস করতে নামেন চট্টগ্রামের নতুন অধিনায়ক আফিফ হোসেন। বিপিএলের মাঝপথে এই নিয়ে তৃতীয়বার অধিনায়কত্বে বদল আনল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে সরিয়ে আফিফ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুধু অধিনায়কত্বে বদল আনাই নয়, এমনকি একাদশেও রাখা হয়নি নাঈমকে।
অবশ্য বারবার নেতৃত্বে বদল ও মাঠের বাইরের আলোচনার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের পারফরম্যান্সে। বিপিএলের শুরুর দিকে ছন্দে থাকা দলটি এখন পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে। গত কয়েক ম্যাচেই তারা দেখেছে হতাশা।
এই ম্যাচেও শুরুতে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে শুরুতে হতাশ করেছেন জাকির হাসান। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ২৭ রানে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন উইল জ্যাকস।
এরপর শেষ দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন শামীম হোসেন। শেষ দিকে বেনি হাওয়ালের সঙ্গে জুটি বেধে চট্টগ্রামকে মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন শামীম। ৩৭ বলে ৫২ রান করেন তিনি। হাওয়েল করেন ২৪ রান।
বল হাতে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সমান একটি করে নেন ফারুকি, মাহমুদউল্লাহ, আরাফত সানি, কায়েস আহমেদ, ইবাদত হোসেনরা।