মাশরাফী-রাজাদের দাপটে অল্পতে শেষ চট্টগ্রাম
লম্বা সময় পর ক্রিকেটের বাইশ গজে ফিরলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফেরাটা রাঙালেন উইকেট দিয়ে। সঙ্গে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা ও মোহাম্মদ আমির। সিলেট স্ট্রাইকার্সদের বোলিং দাপটে অল্পতেই অল আউট হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আজ শুক্রবার (৬জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তুলতে পেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের পক্ষে কেউই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। তাতে বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই লো স্কোরিং ইনিংস দেখেছে ভক্তরা।
নানা বিতর্ক আর সমালোচনা পেরিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ গড়ায় দুপুর ২টায়। যদিও ম্যাচের সময় পূর্ব নির্ধারণ ছিল আড়াইটা, কিন্তু তা কমিয়ে আনা হয় ৩০ মিনিট। শুরুর ম্যাচে টস জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় সিলেট।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল হাতে আসেন মাশরাফী। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা মাশরাফীর বোলিংয়ে ছিল না কোনো জড়তা। শুরুর ওভারে মাত্র এক রান দেন তিনি, বাকি পাঁচটিই দেন ডট বল। মাশরাফীর দ্বিতীয় ওভারে ভাঙে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি। সেটা অবশ্য ভাঙে রান আউটে। ১৪ বলে ১৩ রান করে ফেরেন চট্টগ্রামের ওপেনার মেহেদী মারুফ।
পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে নিজের প্রথম শিকার তুলে নেন মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানির তারকার গতিময় বল মোকাবিলায় উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন আরেক ওপেনার রাসুলি (৩)।
এরপর শুধু হতাশাই দেখে চট্টগ্রাম। রেজাউর রহমান রাজা একে একে তিন স্পেলে এসে তুলে নেন তিন উইকেট। ফিরিয়ে দেন শুভাগত হোম, উসমান খান ও উন্মুক্ত চাঁদকে। মাশরাফী উইকেটের দেখা পান নিজের শেষ স্পেলে। নিজের কোটার শেষের ওভারে মৃত্যুঞ্জয়কে বিদায় করেন তিনি।
স্রোতের বিপরীতে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু সেটাও বৃথা করে দেন আমির। ২৫ রানে ভাঙেন আফিফের প্রতিরোধ। একের পর এক উইকেট হারানোর হতাশা সামলে বেশিদূর যেতে পারেনি চট্টগ্রাম। ৮৯ রানেই থেমে যায় শুভাগত হোমের দল।
৪ ওভারে বোলিং করে ১৮ রান খরচায় একটি উইকেট নেন মাশরাফী। ২২ রান দিয়ে সমান একটি নেন কোলিন। রেজাউর রহমান রাজা চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন। আমিরের শিকার ৭ রানে দুটি।