ম্যারাডোনার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মার্যাডোনার মৃত্যুতে স্তব্ধ আর্জেন্টিনা। গতকাল বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবল জাদুকর। তাঁর মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে আর্জেন্টাইন সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর নিশ্চিত করেছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ফুটবল ইতিহাসের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফারনান্দেস এক শোকবার্তায় প্রিয় তারকার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি শুধু আমাদের আনন্দই দিয়েছেন। আমরা তার কাছে ঋণী। রাজ্যের সব দুয়ার দিয়েগোর জন্য খোলা।’
এই কিছুদিন আগে মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল ম্যারাডোনার। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গিয়েছিলেন অতিরিক্ত অ্যালকোহল আসক্তি থেকে সেরে ওঠার নিরাময় কেন্দ্রে। এর পর বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। সেখানেই মারা যান তিনি।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ম্যারাডোনা। এরপর আর বেঁচে ফিরতে পারেননি তিনি।
আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া আমাদের কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি প্রায় একাই। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। শৈল্পিক ফুটবল দিয়ে কিশোর বয়সেই নজর কাড়েন ম্যারাডোনা। মাত্র আট বছর বয়সে যোগ দেন আর্জেন্টিনার যুব দলে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি প্রায় একাই। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন ম্যারাডোনা। তবে সেবার আর বিশ্বকাপ ছোঁয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৭ সালে বুটজোড়া তুলে রাখেন ম্যারাডোনা।