লক্ষ্য ২০৬ রান, চার উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
শুরুর ধাক্কাটা সামলে দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে শুরুটা করেছিল, তাতে ২০০ তো বটেই, ২৪০কেও খুব সম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শেষ দিকের বোলিংয়ে রানটা একেবারেই লাগামছাড়া হয়ে যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়েছে ২০৫ রানে। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এখন ২০৬ রানের।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ১৫ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ রান করে আউট হয়ে ফিরে গেছেন। দুটি ওইকেটই পেয়েছেন আনরিখ নরকিয়া। এরপর মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে ফিরে গেছেন সাকিব আল হাসান।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ বৃহস্পতিবার টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের হাত ধরে শুরুটা ভালোই হয় দলের। সে ওভারে ২ রান খরচায় টেম্বা বাভুমাকে বিদায় করেন তিনি।
বাভুমা শুরু থেকেই খানিকটা নড়বড়ে ছিলেন। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে তাকে বিদায় করেন তাসকিন। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। প্রোটিয়া অধিনায়কের সেই ক্যাচটা ধরতে তেমন সমস্যাই হয়নি নুরুল হাসানের। দলীয় ২ রানেই প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেটাই শেষ, পরের ১৩ ওভারে বাংলাদেশ আর কোনো সাফল্য পায়নি। কুইন্টন ডি কক আর রাইলি রুশো মিলে গড়েছেন ১৬৩ রানের বিশাল এক জুটি। সেই জুটি ভাঙার তাড়নায় দুটো রিভিউই ইনিংসের সপ্তম ওভারে খুইয়ে বসে সাকিব আল হাসানের দল।
সেই জুটিটা অবশেষে ভাঙল ইনিংসের ১৫তম ওভারে। আফিফ হোসেনের বলে ফিরলেন ফেরেন কুইন্টন ডি কক। এরপরই বাংলাদেশ যেন ফিরল ম্যাচে। শেষ পাঁচ ওভারে দিল ২৯ রান তুলে নিল ৩ উইকেট। মাঝে অবশ্য রাইলি রুশো ৫২ বল খেলে পেয়ে গেছেন তিন অঙ্কের দেখা। তার বিদায়ের পর আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি। ফলে শেষ দিকে এসে আর ঝড় তোলা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। তাদের ইনিংস শেষমেশ থামে পাঁচ উইকেট খুইয়ে ২০৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২০ ওভারে ২০৫/৫ (টেম্বা বাভুমা ২, কুইন্টন ডি কক ৬৩, রাইলি রুশো ১০৯, এইডেন মার্করাম ১০; তাসকিন আহমেদ ৪৬/১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২/০, হাসান মাহমুদ ৩৬/১, মুস্তাফিজুর রহমান ২৫/০, সাকিব আল হাসান ৩৩/২)
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৩৯/২ (নাজমুল হোসেন শান্ত ৯, সৌম্য সরকার ১৫, লিটন দাস ১২*, সাকিব আল হাসান ১; আনরিখ নর্কিয়া ১/২)