৬ ছক্কা হাঁকানোর রহস্য জানালেন পোলার্ড
ঘরোয়া ক্রিকেটে ছয় ছক্কা হাঁকানোর গল্প শোনা যায় মাঝে মধ্যে। কিন্তু, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেন এটি হয়ে উঠেছিল আরাধ্য ব্যাপার। ২০০৭ সালের মার্চে ওয়ানডেতে এই কীর্তি প্রথম গড়েন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস। একই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই কীর্তি করেন ভারতের যুবরাজ সিং। এরপর কেটে গেছে অনেক বছর। এতদিন পর ক্রিকেটপ্রেমীদের এক ওভারে ছয় ছক্কা দেখার স্বাদ দিলেন কাইরন পোলার্ড।
অ্যান্টিগায় স্বপ্নের মতো দিন পার করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। আকিলা ধনঞ্জয়ার এক ওভারে ছয় ছক্কার গল্প লিখলেন তিনি। ম্যাচ শেষে জানালেন, ছয় ছক্কা হাঁকানোর পেছনের ছক।
পোলার্ড জানালেন, তৃতীয় ছক্কা হাঁকানোর পরই ছয় ছক্কা মারার চিন্তা আসে তাঁর মাথায়। এরপর স্রেফ নিজের ওপর আস্থা রেখে বল মোকাবিলা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘তৃতীয়টির পর আমার মনে হচ্ছিল, ছয় ছক্কা মারতে পারি। সুপার ফিফটিতেও এটা করেছি (ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্টে ৫ ছক্কা মেরেছিলেন)। আমি স্রেফ নিজের ওপর আস্থা রেখেছি। পঞ্চম ছক্কার পর জানতাম, বোলারকে চাপে ফেলে দিয়েছি। সে রাউন্ড দ্য উইকেট দিয়েছিল, কাজটা কঠিন ছিল তার জন্য। আমি স্রেফ নিজেকে বলেছি, করে ফেল।’
গতকাল বুধবার অন্যরকম একটি ম্যাচ দেখল ক্রিকেট ভক্তরা। যেই ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক এবং এক ওভারে ছয় ছক্কা—দুটোই ঘটল। দুটো ঘটনাতেই জড়িয়ে ছিল লঙ্কান বোলার আকিলা ধনঞ্জয়ার নাম।
এক ওভারে ছয় ছক্কা হজম করার অভিজ্ঞতা হলো আকিলা ধনঞ্জয়ার। ছয় ছক্কা হাঁকালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। আবার একই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন ধনঞ্জয়া। রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে জিতেছে ক্যারিবীয়রা।
চতুর্থ ওভারে বল হাতে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ধনঞ্জয়া। ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথমে লুইসকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১০ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেন লুইস। এরপরের বলে আউট করেন ক্রিস গেইলকে। দুই বছর পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন গেইল। এরপর চতুর্থ বলে নিকোলাস পুরানকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ধনঞ্জয়া।
তৃতীয় লঙ্কান হিসেবে হ্যাটট্রিক করে পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন ধনঞ্জয়া। কিন্তু তাঁর হ্যাটট্রিকের আনন্দ মুহূর্তের মধ্যেই মিলিয়ে যায়। পরের ওভারেই এসেই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় লঙ্কান স্পিনারের। ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে আসেন ধনঞ্জয়া।
তখন ক্রিজে ছিলেন পোলার্ড। ওই ওভারের ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ওভারে প্রথম বলে লং অনের ওপর দিয়ে মারেন ছয়। পরের বলে সাইট স্ক্রিনের দিকে বল মাঠের বাইরে পাঠান। তৃতীয় ছক্কাটি যায় লং অফের ওপর দিয়ে। এরপর ডিপ মিড উইকেট দিয়ে হাঁকান চতুর্থ ছক্কা। শেষে লং অন ও মিড উইকেটে হাঁকান পরপর দুই ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ১১ বলে ৩৮ রান করে দেশকে জেতান পোলার্ড।