নরওয়েতে খেলে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন!
ক্রিকেটে নরওয়ের অবস্থান কোথায়? একজন অন্ধ ক্রিকেটভক্তের পক্ষেও এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। আইসিসির এফিলিয়েট সদস্য নরওয়েতে ক্রিকেট শুধুই শখের খেলা। আর এই দেশেরই ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে গেছেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আসিফ। শুধু যাওয়াই নয়, স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরা আসিফ একটা স্বপ্নের জালও বুনছেন। তাঁর আশা, নরওয়েতে খেলে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার পথ সুগম হবে।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আসিফ, মোহাম্মদ আমির ও পাকিস্তানের সেই সময়ের অধিনায়ক সালমান বাট। গত বছর ক্রিকেটে ফেরার পর আমির বল হাতে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে এখন পাকিস্তানের পেস আক্রমণের সবচেয়ে বড় ভরসা। তবে আসিফ বা সালমান ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি। পাকিস্তানের ঘরোয়া মৌসুমও শেষ। তাই ফিটনেস ঠিক রাখতে আসিফ যোগ দিয়েছেন নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানিয়া ক্রিকেট ক্লাবে।
ক্রিকেটবিশ্বের অনেক পিছিয়ে থাকা দেশ হলেও নরওয়েতে খেলতে পেরে আসিফ খুশি। ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, ‘আমার একজন বন্ধু এখানে এসে ক্রিকেট খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ট্রেনিংয়ের জন্য এখানকার আবহাওয়া খুব ভালো। তাই আমি এখানে এসেছি। ক্রিকেটের মান হয়তো খুব উঁচু নয়। তবে ক্রিকেট তো! এখানকার পিচগুলো বল সুইং করানোর জন্য বেশ ভালো। আমার শুধু ফিটনেস ধরে রাখা প্রয়োজন।’
তবে মান যেমনই হোক, নরওয়েতে খেলে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্নে বিভোর আসিফ। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলে ১৬৫ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘পাঁচ বছর পর ফিরে জোরে বল করা খুব কঠিন। অবশ্য আমি ভিন্ন ধরনের বোলার। আমি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে বল করা বোলার নই। গতির চেয়ে আমি বরং সুইং আর সিমের ওপরে বেশি জোর দেই। এ দুটোই আমার প্রধান অস্ত্র। আশা করি ভালো খেলে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরের জাতীয় দলে সুযোগ পাব।’
আগামী নভেম্বর থেকে জানুয়ারিতে তাসমান প্রতিবেশী দুই দেশে সফরে যাবে পাকিস্তান। শুরুতে নিউজিল্যান্ডে দুটি টেস্ট আর পরে অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে তারা।