ব্রেন্ডন টেলরের বিদায়ী চমক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জীবনের শেষ ম্যাচ কী দুর্দান্তই না খেললেন ব্রেন্ডন টেলর! বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শনিবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা এমনিতে গুরুত্বহীন জিম্বাবুয়ের জন্য। তবে টেলরকে আর কখনো পাশে পাবে না বলে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচটা আবেগের। সেই আবেগের ম্যাচেই জ্বলে উঠে ১১০ বলে ১৩৮ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলে বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখলেন ২৯ বছর বয়সী টেলর।
গত ৭ মার্চ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯১ বলে ১২১ রানের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংসের ‘জনক’ এখন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বকাপে দেশের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব তাঁরই। এই দুই ম্যাচেই নিয়মিত অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরার অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে প্রথম হলেও এর আগে ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে শতক করেছিলেন টেলর, ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এমন একজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে জিম্বাবুইয়ানদের আফসোস হবেই!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও ব্যাট-প্যাড-গ্লাভসের ভালোবাসা থেকে দূরে থাকতে পারছেন না টেলর। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব নটিংহ্যামশায়ারের সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এই চুক্তির শর্তের কারণেই জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে পারবেন না তিনি।
টুইটারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়ে টেলরের মন্তব্য, ‘দীর্ঘ ১১ বছর খেলার পর আমি জিম্বাবুয়ে দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জন্য এটা দুঃখজনক ঘটনা। তবে মনে-মনে সবসময়ই দলের সতীর্থ ও দেশের পাশে থাকব। সবার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!’
২০০৪ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত টেলর জিম্বাবুয়ের সর্বকালের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান। ১৬৭ ম্যাচে ৫২৫৮ রান নিয়ে ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। তাঁর সামনে আছেন শুধু দুই ভাই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (৬৭৮৬) ও গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার (৬৫৭১)। তবে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি আটটি শতক টেলরেরই। টেস্টে অবশ্য তেমন সাফল্য পাননি। ২৩ টেস্টে চারটি শতকসহ টেলরের রান ১৪৯৩।