পাকিস্তানের বাঁচা-মরার লড়াই
ক্রিকেট ঐতিহ্য বা শক্তিতে দুই দলের কোনো তুলনাই চলে না। তবে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এখন একটি দিক দিয়ে সমান। পাঁচটি করে ম্যাচ খেলে দুই দলেরই ছয় পয়েন্ট। রোববার অ্যাডিলেড ওভালে বিজয়ী দলের হাতে উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
অবশ্য পরাজিত দলও বিশ্বকাপের শেষ আটে চলে যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে গেলে পাকিস্তান আর আয়ারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে। তবে ক্যারিবীয়রা বড় ব্যবধানে জয় পেলে অ্যাডিলেডের বিজিত দলের বিদায়ের আশঙ্কা!
এমন এক বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে ‘উঁকি’ দিচ্ছেন বব উলমার। আট বছর আগে তিন উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানকে ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। পরের রাতে জ্যামাইকার হোটেল রুম থেকে উদ্ধার করা হয় পাকিস্তান কোচ উলমারের মৃতদেহ। সেই মৃত্যুর রহস্য আজও উদ্ঘাটন হয়নি।
এবারের বিশ্বকাপেও বাদ পড়ায় শঙ্কা চেপে ধরেছিল পাকিস্তানকে। তবে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে চাপে পড়ে গেলেও পরের তিন ম্যাচ জিতে তারা এখন শেষ আটের পথে। পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ‘পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা’র মতো সুযোগটা কাজে লাগাতে মরিয়া, ‘আমরা বিশ্বকাপে নতুন জীবন পেয়েছি। আমরা যেন সুযোগটা না হারাই তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জিততে হবে। তারপর আর তিন ম্যাচ জিতলেই শিরোপা!’
এই ‘সহজ’ সমীকরণ মনে করিয়ে দিয়ে সতীর্থদের প্রতি মিসবাহর আহ্বান, ‘আমাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো সুযোগ নেই। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমাদের মাঠে নামতে হবে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিতে হবে, আর যত বেশি সম্ভব রান করতে হবে। বোলাররা এখন পর্যন্ত ভালোই করেছে। এবার ব্যাটসম্যানদের অবদান রাখার পালা।’
মিসবাহ যখন সতীর্থদের তাতানোর চেষ্টায় ব্যর্থ, উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড তখন ম্যাচটাকে নিয়ে নির্লিপ্ত। এটাকে একটা ‘সাধারণ’ ম্যাচ হিসেবে দেখতে আগ্রহী আইরিশ অধিনায়ক, ‘গ্রুপ পর্বের একটা ম্যাচ হিসেবেই এটার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এই ম্যাচের ফলাফল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অন্য যে কোনো ম্যাচের মতো এই ম্যাচের জন্য একই রকম প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’