১৬ বছরের অপ্রাপ্তি ঘোচানোর ‘মিশন’
পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটাই মাত্র জয়, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। এরপর ১৬ বছর পেরিয়ে গেছে, অনেক অর্জনে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। কিন্তু দ্বিতীয়বার পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব হয়নি। কয়েকবার কাছাকাছি গিয়েও জয় হাতছাড়া হয়েছে। এবার বাংলাদেশের সামনে দারুণ সুযোগ। পাকিস্তানকে দ্বিতীয়বার হারানোর লক্ষ্যে শুক্রবার প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।
বিশ্বকাপে দারুণ সাফল্য পাওয়া বাংলাদেশের সামনে এক ‘নতুন’ পাকিস্তান। যে দলটির অধিনায়ক এমন একজন ব্যাটসম্যান, প্রায় চার বছর আগে অভিষেক হলেও মাত্র ১৪টি ওয়ানডের বেশি খেলার সুযোগ পাননি। ছিলেন না বিশ্বকাপের দলেও। ৩০ বছর বয়সী সেই আজহার আলীর কাঁধেই পাকিস্তানকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুদায়িত্ব। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের কাছে হেরে যাওয়ায় অতিথিরা মানসিকভাবে কিছুটা হলেও পিছিয়ে। এমন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভালো করার দারুণ সুযোগই বটে।
২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। মিরপুর স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে মাত্র দুই রানে হেরে যান সাকিব-মুশফিকরা। মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে প্রথম ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসানকে আজও সেই দুঃখ তাড়া করে বেড়ায়, ‘এশিয়া কাপের সেই ফাইনালে আমাদের জয় না পাওয়া অনেক বেদনাদায়ক। সেই দুঃখ অনেকদিন মনে থাকবে। তবে এবার আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ। গত ১৬ বছরে পারিনি বলে এবার না পারার কোনো কারণ নেই।’
সাকিবের এমন আত্মবিশ্বাস অমূলক নয়। অভিজ্ঞতা বা শক্তি-সামর্থ্যে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার কথা। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে রাখতেই হবে।
দলে সুযোগ পেয়েও চোটের কারণে সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই তিনজনের ছিটকে পড়া পাকিস্তানের জন্য অবশ্যই আঘাত। বুধবার প্রস্তুতি ম্যাচে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পেয়ে বিদায় নেওয়া লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর জায়গায় বাঁহাতি স্পিনার জুলফিকার বাবরকে নিয়ে এসেছে অতিথি দল।
পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তি, বোলিং অ্যাকশন শুধরে অফস্পিনার সাঈদ আজমলের প্রত্যাবর্তন। প্রথম ওয়ানডেতে এই তারকা স্পিনার দলের ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠতে পারেন।