এবার টেস্টেও জয়োল্লাস?
খুলনায় মাঠে নামার আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে আট টেস্টের সবগুলোতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। খুলনা টেস্টে ড্র করায় বাংলাদেশের সামনে যেন নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এবার কী জয়ের পালা? বুধবার থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই ম্যাচে সাফল্য পেলে তৃতীয় টেস্ট দলকে হারানোর আনন্দে মেতে উঠবে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে পাবে প্রথম টেস্ট জয়।
বাংলাদেশের সাতটি টেস্ট জয়ের পাঁচটিতেই প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। বাকি দুই জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ক্যারিবীয় সফরে অবশ্য পূর্ণশক্তির দলের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ওই সিরিজ বয়কট করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটাররা।
মিরপুর স্টেডিয়ামে আগের ১২ টেস্টের ১০টিতেই জয়-পরাজয় নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ মিরপুরে ড্র টেস্টের সংখ্যা মাত্র দুটি। এই মাঠে বাংলাদেশ মাত্র একটা টেস্টই জিতেছে, গত বছরের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
তবে এসব পরিসংখ্যানের আসলে কোনো মূল্য নেই। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে থাকা পাকিস্তানের সামনে এখন নতুন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজে নাস্তানাবুদ হয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়েছে অতিথিরা। টি-টোয়েন্টিতে পাত্তা পায়নি। এরপর প্রথম টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও ড্র করেছে। তাই পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক মিরপুর টেস্ট জয়ের কথা জোর দিয়ে বলতে পারেননি। শুধু ভালো খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
মিসবাহর প্রতিক্রিয়াতেই পরিষ্কার, বাংলাদেশকে তারা কতটা সমীহ করছে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে উজ্জীবিত বাংলাদেশ চলমান হোম সিরিজেও সাফল্যে উদ্ভাসিত। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের কণ্ঠে তাই উচ্ছ্বাস আর তৃপ্তি, ‘ভাবতে ভালো লাগছে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজেও সাফল্য পেয়ে চলেছে বাংলাদেশ দল। এমন ধারাবাহিক সাফল্য খুব কমই উপভোগ করেছে বাংলাদেশ।’
সব কিছু ভালোভাবে চললেও বল হাতে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সে কিছুটা দুশ্চিন্তায় মুশফিক, ‘সাকিবের মতো খেলোয়াড়ের কাছে সবারই প্রত্যাশা থাকে। আমরাও ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই সাফল্যের জন্য সাকিবের দিকে তাকিযে থাকি। আশা করি মিরপুর টেস্টে সে বল হাতে ভালো করতে পারবে।’