চট্টগ্রামে রিভিউর রেকর্ড!
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেটের দেখা পাওয়ার জন্য থার্ড আম্পায়ারের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউর পর দেখা যায়, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেট। আজ দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রডকেও আউট করার জন্য আবার রিভিউর আবেদন করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
শুধু শুরু আর শেষটাই নয়, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের পুরোটাই ছিল রিভিউময়। ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে থার্ড আম্পায়ার সুন্দরম রবিকে। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মোট ১০ বার থার্ড আম্পায়ারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বেশির ভাগ সময়ই সফল হয়েছে ইংল্যান্ড। রিভিউর সুবিধা কাজে লাগিয়ে চারবার উইকেটে টিকে গেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। এর মধ্যে তিনবারই ভাগ্যবান ব্যাটসম্যানের নাম মইন আলী।
২৭তম এভারে সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউর আবেদন করে সেই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত করেছিলেন মইন আলী। ৩০তম ওভারে আবারও সাকিব-মইনের মধ্যে চলে রিভিউর লড়াই। এক ওভারে দুবার সাকিবের আবেদনে সাড়া দিয়ে মইনকে আউট ঘোষণা করেছিলেন মাঠের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু দুবারই রিভিউর আবেদন করে উইকেটে টিকে থাকেন মইন। তিন-তিনবার ‘আউট’ হয়েও নটআউট থেকে গেছেন ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংসটিও এসেছে মইনের ব্যাট থেকে।
আজ দ্বিতীয় দিনে রিভিউর কল্যাণে বেঁচে গেছেন আদিল রশিদও। মিরাজের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন মাঠের আম্পায়ার। কিন্তু আবারও সেই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করে নটআউটের ঘোষণা দিয়েছেন থার্ড আম্পায়ার। রিভিউয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে দুটি সফলতা। বিফলে গেছে মুশফিক-সাকিবদের চারটি রিভিউর আবেদন।
টেস্টের এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ১০টি রিভিউর আবেদন গড়েছে নতুন রেকর্ড। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর সূত্রমতে, এক ম্যাচে এত বেশি রিভিউ আগে কখনোই দেখা যায়নি।