ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে বুন্দেসলিগা শিরোপা জিতল বায়ার্ন
গত সপ্তাহে আরবি লাইপজিগের কাছে হেরে শিরোপার দৌড়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড জিতে তাদের দুই পয়েন্ট পেছনে ফেলেছিল। মেইঞ্জকে হারিয়ে বায়ার্নের ১০ বছরের একচ্ছত্র আধিপত্য ভেঙে দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু পারল না। ডর্টমুন্ডের আশা ভেঙে মেইঞ্জ বায়ার্নকে তুলে দিল শিরোপা।
আজ শনিবার (২৭ মে) শনিবার নিজেদের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে মেইনজের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ডর্টমুন্ড। একই সময়ে গড়ানো আরেক ম্যাচে কোলনের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। টানা ১১তম বার জার্মানির শীর্ষ লিগ বুন্দেসলিগায় চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। অন্যদিকে, কাছাকাছি এসেও ডর্টমুন্ডের শিরোপা জয়ের আক্ষেপ বাড়ল।
কোলনের বিপক্ষে খুব দ্রুতই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৮ মিনিটে লিরয় সানের অ্যাসিস্টে গোল করেন কিংসলে কোমান। অন্যদিকে সিগনাল ইদুনা পার্কে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মেইঞ্জ। ১৫ ও ২৪ মিনিটে গোল দুটি করেন আন্দ্রেস হানছে ওলসেন ও করিম ওনিসিও। ৮০ মিনিট পর্যন্ত শিরোপা বলতে গেলে বায়ার্নের হাতেই ছিল। ঠিক তার পরের মিনিট সমীকরণ পাল্টে যাওয়া শুরু করে।
৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে কোলনের গোল করেন দেয়ান জুবিসিচ। তখন আবার শিরোপার লড়াইয়ে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ২০২২-২৩ মৌসুমের বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন কে হবে, তা দুলতে থাকে পেন্ডুলামের মতো। কিন্তু, ভাগ্য দেবতা ডর্টমুন্ডের সঙ্গে নিষ্ঠুর-নির্মমতা দেখিয়েছি। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে তরুণ জামাল মুসিয়ালা গোল করে বায়ার্ন মিউনিখকে লিডে ফেরায়। বাকি সময় সেই লিড ধরে রেখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেনা স্বাদ আবারও নেয় বায়ার্ন।
অন্যদিকে, ডর্টমুন্ড যোগ করা সময়ে গোল করে ২-২ গোলের সমতা করে মাঠ ছাড়ে। কিন্তু তাতে একটা পয়েন্ট পেলেও লাভ হয়নি ডর্টমুন্ডের। ৩৪ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বায়ার্ন। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে স্রেফ গোল পার্থক্যে পিছিয়ে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ডর্টমুন্ডকে।