সতীর্থদের দেখে কষ্ট লাগছে, তবুও মানিয়ে নিচ্ছেন ইবাদত
সময়ের কাটায় আর মাত্র ৫ দিন বাকি। এরপরই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসর। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিম থেকে শুরু করে মাঠ—সব জায়গাতেই ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যস্ততা।
কিন্তু সবার মাঝে ইবাদত হোসেন যেন আলাদা। তার কোনো ব্যস্ততা নেই। সামনে তার ম্যাচও নেই। কারণ চোট মাঠ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে তাকে। খেলা হচ্ছে না বিপিএলের দশম আসরে। খেলা হয়নি, বিশ্বকাপ কিংবা জাতীয় দলের হয়ে শেষ সিরিজগুলোতে। লন্ডন থেকে অপারেশনের পর আপাতত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন এই পেসার।
আজ শনিবারও (১৩ জানুয়ারি) পুনবার্সন প্রক্রিয়ার মাঝেই জানালেন, নিজের বর্তমান অবস্থার কথা। সতীর্থদের অনুশীলন দেখে কিছু আবেগপ্রবণ হলেও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন ইবাদত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন তেমনটাই। ইবাদত বলেছেন, ‘আমি তো আশা করি বিশ্বকাপের আগেই ফিরব, ইনশাআল্লাহ। যেভাবে সব যাচ্ছে খুব ভালো যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যেভাবে মেডিকেল বিভাগ সাপোর্ট দিচ্ছে, রিহ্যাবটা খুব ভালো করছি। স্ট্রেন্থ ফিরে পাচ্ছি। সেন্ডফিডে কাজ করছি, স্ট্রেন্থ করছি। আশা করি সামনে ভালো কিছুই হবে।’
এরপর বাকিদের ব্যস্ততা নিয়ে ইবাদত বলেন, ‘ওরা বোলিং করছে, ম্যাচ খেলছে। কষ্ট লাগবেই। এটাই তো স্বাভাবিক। দেখলে মনে হয় একটু বল ধরি, একটু বোলিং করি। কিন্তু আমি তাড়াহুড়ো করছি না। আমি যে প্রসেস ফলো করছি, যেই প্রসেসে খুব ভালোভাবে এগোচ্ছি। গত পরশুদিন আমার দুই পায়ের মাপ নেওয়া হয়েছে, মাসলের। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালোই রিকভার হয়েছে। এই জন্যই মনে হচ্ছে, কষ্ট যেটা করছি সেটার ফলটা খুব ভালো পাচ্ছি।’