সাকিবের রংপুরকে হারিয়ে ছন্দে ফিরল কুমিল্লা
দুদলেরই প্লে-অফ নিশ্চিত। আপতদৃষ্টিতে ম্যাচটি মর্যাদার লড়াই। এমন ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার সামনে দাঁড়াতেই পারল না রংপুর রাইডার্স। ব্যাটিং ব্যর্থতায় কুমিল্লার কাছে ডুবেছে সাকিব আল হাসানের দল। টানা আট ম্যাচে জয়ের পর পেয়েছে হারের তিক্ত স্বাদ।
বিপিএলের ৪০তম ম্যাচে রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই হার দিয়ে শেষ হলো রংপুরের গ্রুপ পর্বের যাত্রা। ১২ ম্যাচে ৯ জয় ও তিন হারে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে থেকেই শেষ হলো রংপুরের গ্রুপ পর্ব।
অন্যদিকে কুমিল্লার হাতে এখনও এক ম্যাচ বাকি। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। আছে টেবিলের দুই নম্বরে। পরের ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে পারলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেও প্লে-অফে খেলার সুযোগ রয়েছে লিটন দাসদের।
বিপিএলের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান তুলেছে রংপুর রাইডার্স। যার জবাব দিতে নেমে ১৪ বল হাতে রেখেই ১৫১ করে জয়ের নাগাল পেয়ে যায় কুমিল্লা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ করে রান করেন -লিটন দাস ও আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবিয়ান তারকা তো সাগতিকায় তান্ডব চালান। তার ৪৩ রান আসে স্রেফ ১২ বলে। যা সাজানো সমান ৪টি করে ছক্কা-চারে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল রংপুর। ২৪ ঘণ্টা আগে বরিশালের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নেওয়া রংপুর উইকেট হারায় দ্বিতীয় ওভারেই। কুমিল্লার বোলার তানবির ইসলামের বলে ফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং (৪)।
পরের ওভারেই ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। ফোর্ডের এলবির শিকার হয়ে ১৪ রানে তিনিও ফেরেন ড্রেসিংরুমে। চারে নেমে শেখ মেহেদিও পারেননি থিতু হতে পারেননি। তবে, কিছুটা লড়াই করেন ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান। ২৪ রানে সাকিবের সেই লড়াই থামিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন মুশফিক হাসান।
এরপর শুধু হতাশাই দেখেছে রংপুর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে রংপুর। কুমিল্লা করেছে উইকেট উৎসব। সতীর্তদের আসা-যাওয়ার মিছিলে নিশাম একাই লড়াই করেছেন। তার ব্যাটে চড়েই মান বাঁচানোর মতো পুঁজি পায় রংপুর।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড, মুশফিক হাসান ও আন্দ্রে রাসেল। তানবিরের শিকার একটি।