সিরিজ জিততে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
সিলেটের সবুজ ঘাসে বাংলাদেশকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে অনন্য অর্জন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি শেষে ১-১ সমতা। অলিখিত ফাইনাল জিততে আজ শনিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭৫ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজও টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছেন স্বাগতিক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
দুই ওপেনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় লঙ্কানরা। যদিও, তাদের জুটি বড় হয়নি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় তাসকিনের বলে পুল করতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন সিলভা। ১২ বলে আট রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
ইনিংসের শুরুতেই ধনঞ্জয়াকে ফেরালেও কুশল মেন্ডিসের প্রতিরোধ ভাঙতে পারছিল না বাংলাদেশ। এরপর একে একে আরও তিনটি উইকেট হারালেও ক্রিজে থিতু হয়ে ছিলেন মেন্ডিস। হাফসেঞ্চুরি ছাড়িয়ে তিনি ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তার সেঞ্চুরি আটকে দিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন তাসকিন আহমেদ। ৫৫ বলে ৮৬ রান করে বিদায় নেন লঙ্কান ওপেনার। তাসকিনকে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন সৌম্যর হাতে।
আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস দাঁড়াতে পারেননি এদিন। সাত বলে ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন ম্যাথুস। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৫ রান। শিকার হন মুস্তাফিজুর রহমানের, ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েও খুব বেশি করতে পারেনি লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত তারা থামে ১৭৪ রানে।
লাল-সবুজের জার্সি হাতে দুটি করে উইকেট পান তাসকিন ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ও শরীফুল নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ১৭৪/৭ (ধনঞ্জয়া ৮, কুশল ৮৬, কামিন্দু ১২, হাসারাঙা ১৫, আসালাঙ্কা ৩, ম্যাথুস ১০, শানাকা ১৯, সামারাবিক্রমা ৭* ; শরিফুল ৪-০-২৮-১, তাসকিন ৪-০-২৫-২, শেখ মেহেদি ৩-০-২২-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৭-১, রিশাদ ৪-০-৩৫-২, সৌম্য ১-০-১১-০)