কার ভুলে জেতা ম্যাচ হারল বাংলাদেশ, জানালেন হৃদয়
ম্যাচ শুরুর আগেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় প্রতিপক্ষ মনে হচ্ছিল। কিন্তু মাঠের খেলায় যে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই, সেটাই প্রমাণ করলেন তানজিম সাকিব-তাসকিন আহমেদরা। প্রোটিয়াদের অল্পতে আটকে রাখলেও ব্যাটাররা শেষটা রাঙাতে পারেননি। ফের একবার শেষের হতাশায় ডুবতে হলো লাল-সবুজের দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ কেন হারল বাংলাদেশ, তাই জানালেন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
গতকাল সোমবার (১০ জুন) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘ম্যাচ হেরে গিয়েছি আমার আউটে। আমি ম্যাচটা ফিনিশ করতে পারলে হারতাম না। সাকিব-শান্ত অনেক আগেই আউট হয়েছে। আমি শেষ পর্যন্ত থাকলে ফলাফল এমন হতো না। কিন্তু আমি সেটা পারিনি। আমরা শুধু সুপার এইট না সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলার মতো দল। এটা আমি বিশ্বাস করি। সব ম্যাচে সবাই রান করবে না। এটাই স্বাভাবিক। যে যেদিন যারাই খেলুক, তারা যেন ম্যাচটা ফিনিশ করে আসতে পারে।’
এছাড়াও বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটি মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ৪ রান হলে ম্যাচের দৃশ্য বদলে যেত। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘নিয়ম তো… আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই ৪টা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ওই ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়ম আমাদের হাত নেই।’
এমন এক পিচে খেলা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেছে। মাহমুদউল্লাহ সীমানায় তালুবন্দী না হলে জয়োৎসব হতেই পারত। যাই হোক মন খারাপ নিয়ে সমর্থকরা মাঠ ছাড়লেও দিনটি মনে রাখবে অনেক দিন। বাংলাদেশ যে লড়াই করেছে!