টেস্টে দ্বি-স্তর কাঠামোর পথে আইসিসি, বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?
বড় দলের ম্যাচ মানেই বেশি দর্শক, বেশি বিজ্ঞাপন। সেটা হোক ক্রিকেট কিংবা ফুটবল। সদ্য সমাপ্ত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি যার বড় উদাহরন। রেকর্ড পরিমান দর্শক এই সিরিজে মাঠে ও টিভি পর্দায় খেলা উপভোগ করেছেন। বিষয়টি নজর এড়ায়নি আইসিসির। দর্শক আগ্রহ ও আয়ের কথা বিবেচনায় টেস্ট কাঠামো নিয়ে নতুন পরিকল্পনা আইসিসির।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মেলবোর্ন এজ’ এর প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে আছে ১২টি দেশ। আইসিসি ভাবছে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামোর কথা। এমনটা হলে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে ভাগ করা হবে দুই স্তরে। প্রথম স্তরে থাকবে শীর্ষ ৭টি দেশ, দ্বিতীয় স্তরে রাখা হবে বাকি ৫ দেশকে। এতে করে ক্রিকেটের ‘বিগ থ্রি’ খ্যাত ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্টের সংখ্যাও বাড়বে।
আর এই তিন দলের সিরিজগুলোতে যেহেতু বেশি আয় করার সুযোগ থাকে, তাই তা হাতছাড়া করতে নারাজ আইসিসি। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রিচার্ড থম্পসন ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মাইক বেয়ার্ডের সাথে চলতি মাসের শেষদিকে বৈঠকে বসবেন। যেখানে উপস্থিত থাকবেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ।
আর এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে প্রতি দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ। যার ফলে সব মিলিয়ে ‘বিগ থ্রি’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন বছরের চক্রে দুইবার করে সিরিজ খেলবে একে অন্যের বিপক্ষে। শীর্ষ স্তরে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এই সাত দল। বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে তখন খেলতে হবে দ্বিতীয় স্তরে।
এদিকে, ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেছেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ক্লাইভ লয়েড। সেখানে স্পষ্টতই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার। সেই প্রসঙ্গে লয়েড বলেন, ‘আমার মনে হয় না দুই স্তরের কাঠামো বাস্তবায়িত হবে। আমি এই খবর শুনে খুব বিরক্ত। এখনই এটাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত। এখানে তো ৩০-৪০টি দল নেই, দল মাত্র ১০টি (আসলে ১২ টি)। আমাদের এমন একটা কাঠামো থাকা উচিত, যেখানে সবাই নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’