ঘরের মাটিতে হার দিয়েই শেষ করল সিলেট
বিপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। ঢাকা পর্বে তিন ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া সিলেট, ঘরের মাঠে ছন্দে ফেরে। টানা দুই ম্যাচ জিতে উঠে আসে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে। তবে, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি দলটি। ঘরের মাঠে হার দিয়েই শেষ করতে হলো সিলেটকে।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২০৩ রান তোলে চিটাগং কিংস। জবাবে, ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানে থামে সিলেট। দলটির হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন জাকের আলীর অনিক। ৩০ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে চিটাগং।
২০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন ওপেনার পল স্টার্লিং। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। শুরু চাপ সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন জাকির হাসান ও জর্জ মানশি। তবে, এই জুটি বড় হয়নি। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ফেরেন জাকির।
আউটের আগে জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৫ রান। এরপর দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার রনি তালুকদারও হতাশ করেন। ৯ বলে ৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সিলেট। শেষেমেশ ১৭৩ রানে থামে দলটি।
এর আগে, ব্যাট হাতে শুরুটা মন্দ হয়নি চিটাগংয়ের। পারভেজ হোসেন ইমন ও উসমান খান মিলে গড়েন ৩২ রান। পারভেজ হোসেন ইমন বিদায় নিয়েও ফিফটি তুলে নেন উসমান। দলীয় ১০০ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫৩ রান।
এরপর আরেক ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ৩৩ বলে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। আর তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় দলটি। শেষদিকে কয়েকটি উইকেট হারালেও চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য গড়তে সমস্যা হয়নি দলটির। শেষদিকে ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেন হায়দার আলী। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৪২ রান।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান চিটাগংয়ের। অন্যদিকে, ৫ ম্যাচে প্রথম তিনটি হারলেও শেষ দুই ম্যাচে দারুণ জয়ে পাঁচে অবস্থান সিলেটের। শেষ চারের দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন দলটির।