খুলনাকে হতাশায় ডুবিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রংপুরের
নাটকীয় এক ম্যাচের সাক্ষী হলো বিপিএল। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। আর রংপুর রাইডার্সের চার উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে দুই বলে টানা দুই উইকেট নিয়ে খুলনাকে হতাশায় ডোবান রংপুরের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৮ রানের জয় পায় বিপিএলের অন্যতম তারকাসমৃদ্ধ দলটি। এটি রংপুরের টানা সপ্তম জয়।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৬ রান তোলে রংপুর। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে খুলনা। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে নাঈম শেখের ব্যাট থেকে।
১৮৭ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা। দুই ওপেনার দরবেশ রসুলী ও মোহাম্মদ নাঈম মিলে গড়েন ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৫ বলে ১৭ করে রসুলী বিদায় নিলেও অধিনায়ক মিরাজকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নেন নাঈম। এই জুটিতে ভালো অবস্থানে যায় দলটি। ১০ ওভারে তুলে ফেলে ৮৬ রান।
কিন্তু দলীয় মিরাজ ও নাইমের বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় খুলনা। মিরাজ ৩৯ ও নাঈম করে ৫৮ রান। শেষদিকে ১৫ বলে আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৯ রান করলেও তার জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ১২ রান। তবে দলটির লেজের সারির ব্যাটাররা সেই লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি স্টিফেন টেইলর। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ফেরেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৮ বলে ১৩ রান।
এরপর দ্রুতই ফেরেন আরেক ব্যাটার সাইফ হাসান। ১১ বলে ৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। অবশ্য দ্রুত উইকেট হারালেও তৌফিক খান ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে চাপ সামাল দেয় রংপুর।
দলীয় ৭০ রানের মাথায় তৌফিকের বিদায়ে ফের হোচট খায় দলটি। তবে, খুশদিল শাহকে সঙ্গী করে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন ইফতিখার। এই দুইজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের ভিত পায় রংপুর। ৩৬ বলে ৪৩ করে আউট হন ইফতিখার। খুলনার হয়ে হাসান মাহমুদ ও আবু হায়দার ২টি করে উইকেট নেন।