বিজয়ের সেঞ্চুরিও পারল না রাজশাহীকে বাঁচাতে!
অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় চেষ্টার কমতি রাখেননি। বিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতক তুলে নেন তিনি। তবু, জেতাতে পারলেন না দুর্বার রাজশাহী। হাসান মাহমুদের করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। হাতে ছয় উইকেট। শেষ ওভারে ৯ রানের বেশি নিতে পারেননি বিজয়। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে রাজশাহীকে সাত রানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌঁড়ে টিকে রইল খুলনা টাইগার্স।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) ২০ ওভারে চার উইকেটে ২০৯ রান তোলে খুলনা। জবাবে ২০ ওভারে চার উইকেটে ২০২ রানে থামে রাজশাহী।
রান তাড়ায় রাজশাহীর শুরুটা হয় ঝড়ো। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও জিসান আলম মিলে ৪.১ ওভারে যোগ করেন ৪৭ রান। ১৫ বলে ৩০ রান করে হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হন জিসান। ১৫ বলে ১৫ করা হারিসকেও ফেরান হাসান। এরপর শুরু হয় বিজয় শো।
রাজশাহী অধিনায়ক বিজয় একা হাতে তুলে নেন দলের দায়িত্ব। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নাকানিচুবানি খাওয়ান খুলনার বোলারদের। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ২১০ রানে লক্ষ্য পার করে জয় তুলে নেবে রাজশাহী। সেটি বিজয়ের কল্যাণেই। কিন্তু, শেষ ওভারে তীরে এসে ডুবল তরী। শেষ পর্যন্ত দল না জিতলেও ১৭৫.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৭ বলে ৯টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। রায়ান বার্লের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৫ রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে সালমান ইরশাদের বলে স্কুপ করেন বার্ল। উল্টোদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন হাসান। যাতে বদলে যায় ম্যাচের গতিপথ।
খুলনার পক্ষে হাসান দুটি এবং আবু হায়দার রনি ও সালমান নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে, নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ঝড়ো শুরু এনে দেন খুলনাকে। ৩.৫ ওভারে ওপেনিং জুটিতে আসে ৪২ রান। ১৪ বলে ২৭ রান করে জিসান আলমের বলে বোল্ড হন নাঈম। ১৩ বলে ২৬ করা মিরাজকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আলো ছড়িয়েছেন ওয়ানডাউনে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস গড়ে দয় শেষদিকে দ্রুত রান তোলার ভিত।
অ্যালেক্স রোজ এক রান করে বিদায় নিলেও খুলনাকে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেন উইলিয়াম বোসিস্তো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অপরাজিত থাকেন দুজনই। ৩৭ বলে ৫৫ রান আসে বোসিস্তোর ব্যাট থেকে। অঙ্কন খেলেন অসাধারণ ক্যামিও। ১২ বলে চার ছক্কায় আড়াইশ স্ট্রাইক রেটে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
রাজশাহীর পক্ষে তাসকিন দুটি এবং জিসান নেন এক উইকেট।