আগ্রাসনের পর ‘হত্যা বা ক্যাম্পে পাঠাতে’ ইউক্রেনীয়দের তালিকা করছে রাশিয়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে—তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর ইউক্রেনীয়দের ‘হত্যা কিংবা ক্যাম্পে পাঠানোর’ তালিকা তৈরি করছে।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধানের কাছে এমন তথ্য জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট স্থানীয় সময় রোববার রাতে এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে—মস্কোর ইউক্রেনে আক্রমণ-পরবর্তী পরিকল্পনায় নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম এবং ‘বড় ধরনের মানবিক দুর্ভোগ’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে, কী ধরনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে, সে বিষয়টি চিঠিতে খোলাসা করা হয়নি।
ইউক্রেন বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিপ্রায় সম্পর্কে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান জল্পনা-কল্পনার মধ্যে বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেছিল—পুতিন ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন নতুন সতর্কবার্তা এলো।
জাতিসংঘসহ জেনেভায় অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাথশেবা ক্রোকারের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আসা অপ্রীতিকর তথ্য আপনার নজরে আনতে চাই। এসব তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে—(রাশিয়ার তরফ থেকে) আরও আগ্রাসনের পরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে লেখা ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘অতীতে রাশিয়ার অভিযানগুলোতে পরিকল্পিত হত্যা, অপহরণ বা গুম, অন্যায়ভাবে আটক ও নির্যাতনের মতো ঘটনা ছিল। এবারের অভিযানেও যারা রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করবে তাদের নিশানা করা হতে পারে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও লেখেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর নিশানার মধ্যে থাকবে ইউক্রেনে নির্বাসনে থাকা রাশিয়া ও বেলারুশের ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক, দুর্নীতিবিরোধী কর্মী, ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং এলজিবিটিকিউআই ব্যক্তিদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী।’